এপ্রিল ফুল ডে বর্জন করুন ।

By: Unknown On: 11:00
  • Share The Gag

  • ১লা এপ্রিলঃ মুসলিম নিধনের এক রক্তাক্ত ইতিহাস(এপ্রিল ফুল ডে বর্জন করুন )
    আজ পহেলা এপ্রিল, সবাই পালন করবে এপ্রিল ফুল ডে-
    কিন্তু আপনারা কি জানেন, কেন এই দিনটিকে এপ্রিল ফুল বলা হয়?
    আপনি কি জানেন, এই দিনে গ্রানাডার লাখ-লাখ মুসলমানকে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছিল?
    এপ্রিল ফুল দিবসটি সৃষ্টির সাথে রয়েছে মুসলমানদের করুণ ও হৃদয়র্স্পশী এক ইতিহাস। ১লা এপ্রিলের এই ইতিহাস অন্যান্য জাতি জানলেও অনেক মুসলিম জাতি না জানার কারনে এই বিজাতীয় অপসংস্কৃতিকে আপন করে নিয়েছে।
    তৎকালীন ইউরোপীয় দেশ স্পেনে মুসলিম সেনাপতি তারিক বিন যিয়াদ এর নেতৃত্বে ৭১১ খ্রীস্টাব্দে ইসলামি পতাকা উড্ডীন হয় এবং মুসলিম সভ্যতার গোড়াপত্তন হয়। সুদীর্ঘ প্রায় আটশ বছর পর্যন্ত সেখানে মুসলমানদের গৌরবময় শাসন বহাল থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে আস্তে আস্তে মুসলিম সাম্রাজ্যে ঘুন ধরতে শুরু করে এবং মুসলিম শাসকরাও ভোগ বিলাসে গা ভাসিয়ে দিয়ে ইসলাম থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। ফলে মুসলিম দেশগুলোও ধীরে ধীরে মুসলমানদের হাত ছাড়া হয়ে খ্রীস্টানদের দখলে যেতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আসে স্পেনের পালা। মুসলিম শাসনে নেমে আসে পরাজয়ের কাল ছায়া। খ্রীস্টান জগত গ্রাস করে নেয় স্পেনের বিজয় পতাকা।
    এক পর্যায়ে মুসলিম নিধনের লক্ষ্যে খ্রীস্টান রাজা ফার্ডিন্যান্ড বিয়ে করে পর্তুগীজ রানী ইসাবেলাকে। যার ফলে মুসলিম বিরোধী দুই বৃহৎ খ্রীস্টান শক্তি সম্মিলিত শক্তি রুপে আত্মপ্রকাশ করে। রানী ইসাবেলা ও রাজা ফার্ডিন্যান্ড খুঁজতে থাকে স্পেন দখলের মোক্ষম সুযোগ। পরবর্তীতে মুসলিম সভ্যতার জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্রস্থল গ্রানাডার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। এক পর্যায়ে মুসলমানদের অসতর্কতার সুযোগে খ্রীস্টান বাহিনী ঘিরে ফেলে গ্রানাডার তিন দিক। এক মাত্র মহাসমুদ্রই বাকী থাকে মুসলমানদের বাঁচার পথ। অবরুদ্ধ মুসলমানগন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে এদিক সেদিক ছুটতে থাকে। মুসলমানদের এই অসহায় অবস্থায় রাজা ফার্ডিন্যান্ড প্রতারণার আশ্রয় নেন। তিনি দেশব্যাপী ঘোষনা করে দেন - "যারা অস্ত্র ত্যাগ করে মসজিদগুলোতে আশ্রয় নেবে এবং সমুদ্র পাড়ে রক্ষিত নৌযানগুলোতে আরোহন করবে তাদেরকে সব রকমের নিরাপত্তা দেওয়া হবে"। এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে মুসলমানগন যেন আশার আলো খুঁজে পায়। সরল মনে বিশ্বাস করে মুসলমানগন মসজিদ ও নৌযানগুলোতে আশ্রয় গ্রহন করে। কিন্তু ইতিহাসের জঘন্য নরপিশাচ প্রতারক রাজা ফার্ডিন্যান্ড তালা লাগিয়ে দেয় মসজিদগুলোতে এবং মাঝ দরিয়ায় ভাসিয়ে দেয় নৌযানগুলোকে। এরপর বিশ্ব মানবতাকে পদদলিত করে ঐ মানুষ নামের পশু ফার্ডিন্যান্ড আগুন লাগিয়ে দেয় মসজিদগুলোর চার পাশে এবং মধ্যসমুদ্রে ডুবিয়ে দেয় নৌযানগুলোকে। ফলে অগ্নিদগ্ধ ও পানিতে হাবুডুবু খাওয়া লক্ষ লক্ষ নারী-পুরুষ আর নিষ্পাপ শিশুর আর্ত চিৎকারে ভারি হয়ে উঠে স্পেনের আকাশ বাতাস। মুহূর্তের মধ্যে নির্মমভাবে নিঃশেষ হয়ে যায় সাত লক্ষ মুসলমানের তাজা প্রান। আর এরই মধ্যে ইতি ঘটে স্পেনের আটশ বছরের মুসলিম শাসনের, আর পৃথিবীর ইতিহাসে রচিত হয় মনবতা লঙ্ঘনের নির্মম অধ্যায়। যেদিন এই মর্মান্তিক হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটেছিল সেদিন ছিল ১৪৯২ খ্রীস্টাব্দের ১লা এপ্রিল। তখন থেকে মুসলমানদেরকে ধোঁকা দেওয়ার সেই নিষ্ঠুর ইতিহাস স্মরনার্থে খ্রীস্টানরা প্রতি বছর এপ্রিল ফুল পালন করে আসছে।
    দুঃখের সাথে বলতে হয় "এপ্রিল ফুল" এর প্রকৃত ইতিহাস সর্ম্পকে না জানার কারণে আমরা আমাদের পূর্বসূরীদের দুর্ভাগ্যকে আনন্দের খোরাক বানিয়ে এপ্রিল ফুল পালন করছি।
    আমরা আর কতকাল আত্মবিস্মৃত হয়ে থাকব ? নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্য সর্ম্পকে অজ্ঞতার ধারা আর কতদিন আমাদের মধ্যে বিরাজ করবে। অথচ এই অজ্ঞতাই আমাদের জন্য সবচেয়ে মারাত্নক কাল হয়ে দেখা দিয়েছে।

    আজও বিচার পাননি,মায়ের সামনে মেয়েকে এবং মেয়ের সামনে মাকে গণধর্ষণের ।

    By: Unknown On: 10:15
  • Share The Gag

  • আজও বিচার পাননি আ.লীগ নেতার হাতে ধর্ষিতা সেই মা-মেয়ে___মায়ের সামনে মেয়েকে এবং মেয়ের সামনে মাকে গণধর্ষণের ৩ বছরঅতিবাহিত হয়েছে। 
    .
    কিন্তু প্রতিকার পাননিনির্যাতিতা মা ও মেয়ে। ধর্ষণের মধ্যেইসীমাবদ্ধ নেই এই লোমহর্ষক ঘটনা।ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা প্রচারেরহুমকি দিয়ে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে তাদেরসম্পত্তি। তারপরও ফেসবুকে ছড়িয়েদেয়া হয় এই ভিডিও। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৩ সালে ফেনীরদাগনভূঞায়।এ ঘটনার মূলহোতা রয়েছে ধরা ছোঁয়ারবাইরে। তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলাপরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নালআবেদিন মামুন। জাতীয় প্রেস ক্লাবেসংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগকরেন নির্যাতিতা ওই নারী। ওই নির্যাতিতানারী জানান, আওয়ামী লীগ নেতা জয়নালআবেদিন মামুন ও তার ভাই লিঠুসহ ১৪ জন তাকে ও তার কিশোরী মেয়েকেধর্ষণ করে।তিনি জানান, ২০১২ সালে তার স্বামী সড়কদুর্ঘটনায় নিহত হলে জয়নাল আবেদিন মামুন তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে।বিয়ে করতে চাইলে রাজি হননি।পরবর্তীতে স্থানীয় জামাল উদ্দীনকেবিয়ে করলে আওয়ামী লীগ নেতামামুনের হুমকির কারণে দুই মাস পর তাদের বিচ্ছেদ হয়। পরবর্তীতে নানাভাবেতাকে জিম্মি করতে চেষ্টা করে মামুন।২০১৩ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর তার বড়মেয়েকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়মামুনের লোকজন। খবর পেয়েমেয়েকে উদ্ধার করতে মামুনের বাসায়যান ওই নারী। তখন ঘরে আটকে রেখেতাকে ধর্ষণ করে মামুন।নির্যাতিতা জানান, ধর্ষণের পর মামুনেরছোট ভাই লিটু তাকে নিয়ে অন্য একটিবাড়িতে যায়। সেখানে তার ১৩ বছরেরছোট মেয়ের সামনে তাকে ও তার বড়মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়। পালাক্রমে ১৪দুর্বৃত্ত তাদের ধর্ষণ করে বলে তিনিজানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছের্যাবের একটি টিম তাদের উদ্ধার করে।ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলফোনে ধারণকরে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয়দেখিয়ে ওই বিধবার কাছ থেকে ছয়টিস্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় মামুন।পরবর্তীতে কয়েকটি দোকানসহ তারসম্পত্তি দখল করেন তিনি। তবেপরবর্তীতে ওই ভিডিওটি ফেসবুকেরমাধ্যমে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হয়।ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে। কিন্তু ধর্ষকরা ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী হওয়ায় শুরুতে মামলা গ্রহণ করেনিপুলিশ। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগনেতা মামুনকে আসামি থেকে বাদ দিয়েমামলা রেকর্ড করে পুলিশ
    .
    শেয়ার করে প্রচার করুন,
    লাইক দিয়ে সাথে থাকুন । https://www.facebook.com/islamicnews24hours/

    ওমর মুখতার রাহিমাহুল্লাহ শায়েখের ঈমান দীপ্ত এই কথা গুলো আমাদের জন্য অনুপ্রেরনার..

    By: Unknown On: 03:20
  • Share The Gag
  • একজন মহান মুজাহিদকে ইটালীর আদালতে হাযির করা হয়েছে। বিচারক তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলেন-
    - আপনিই কি ইটালীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন?
    - জী, করেছি।
    - আপনিই তাহলে জনগণকে ইটালী সরকারের বিরুদ্ধে উস্কে দিয়েছেন?
    - জী, আমি তাদেরকে জালেমের বিরুদ্ধে লড়তে বলেছি।
    - যে অপরাধ আপনি করেছেন তার ভয়াবহ শাস্তি সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে?
    - জী, খুব আছে।
    - কতদিন যাবত ইটালী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন?
    - বিশ বছর।
    .
    বিচারক তাঁর দিকে তাকিয়ে বললেন, আমি ব্যথিত যে, আপনাকে এভাবে মরতে হচ্ছে। মুজাহিদ প্রত্যুত্তর দিয়ে বললেন, যেভাবে আমাকে মারা হচ্ছে তাতে আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
    .
    বিচারক কথা না-বাড়িয়ে বললেন, আপনাকে ছেড়ে দেয়া হবে। শর্ত হলো শুধু মুজাহিদদের উদ্দেশ্যে লিখে দিবেন তারা যেন ইটালী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই না করে।
    .
    আসামী মুজাহিদ বললেন, যে শাহাদাত অঙ্গুলি প্রতিদিন পাঁচবার সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, এবং মুহাম্মদ সা, আল্লাহর মনোনীত রাসূল সে অঙ্গুলির পক্ষে কোন বাতিলের জন্য সাক্ষ্য দেয়া সম্ভব নয়।
    .
    এই মহান মুজাহিদ হলেন ওমর মুখতার রাহিমাহুল্লাহ।

    জীবধশ্যায়--আমেরিকার কারাগারে বন্দী ড. আফিয়া সিদ্দীকা থেকে প্রেরিত চিঠি।

    By: Unknown On: 12:18
  • Share The Gag

  • জীবধশ্যায়--আমেরিকার কারাগারে বন্দী ড. আফিয়া সিদ্দীকা থেকে
    প্রেরিত চিঠি।”
    “হে আমার মৃত জাতি!”
    আমার নাম ড. আফিয়া সিদ্দিকা। আমি Massachusetts Institute of
    Technology (USA) থেকে লেখাপড়া শেষ করেছি এবং আমার
    তিনটি বাচ্চা আছে। আমার উদ্দেশ্য ছিল আপনাদের সহায়তায় অর্জিত
    আমার উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে আমার জাতিকে সাহায্য করা। আমাকে
    অপহরন করা হয় আমার নিজের দেশ (পাকিস্তান) থেকে আমার
    দেশের তথাকথিত মুসলিম নামধারি মুরতাদ সেনাবাহিনীর দ্বারা এবং
    আমায় বিক্রি করে দেয়া হয় আমেরিকার কাছে। এরপর তারা আমার
    উপর চালায় পাশবিক অত্যাচার। আমাকে নির্দয়ভাবে নির্যাতন করা হয়,
    আঘাত করা হয় এবং ধর্ষন করা হয়, একের পর এক। আমার কয়েদী
    নম্বর দেয়া হয়েছে ৬৫০। ,আমি এখন মুসলিম দেশ আফগানিস্তান
    এর কারাগার থেকে আমার বন্দী জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে
    দুআ করি আমার ভাই সেই মুহাম্মদ বিন কাশিমের জন্য। আমি সারা
    বিশ্বের জনসংখার এক পঞ্চমাংশ জনসংখার মুসলিমদের বোন।
    ইসলামের শুরু থেকেই আমার জাতি ঐতিহাসিকভাবে বিখ্যাত তাদের
    ভাইদেরকে হেফাযত করার জন্য এবং শত্রুর কবল থেকে
    তাদেরকে রক্ষা করার জন্য। হযরত উমার (রা) বলেছিলেন যে,
    “যদি কোন কুকুর ফোরাত নদীর ধারে মরে থাকে, তাহলে
    শেষ বিচারের দিন উমর সেই কুকুরের মৃত্যুর জন্য আল্লাহর নিকট
    দায়ী থাকবে।।” এই মুহূর্তে আমি নিজে নিজে হাটতে পারি না।
    আমার একটি কিডনি বের করে ফেলা হয়েছে, আমার বুকে
    গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে এবং আমার বুকে গুলির আঘাত রয়েছে।
    আমার জন্য সব ধরনের মেডিক্যাল এবং বৈধ ও সাধারন সুযোগ- সুবিধা
    প্রত্যাখান করা হয়েছে এবং এটা নিশ্চিত নয় যে আমি বেঁচে থাকব
    না মরে যাবো।
    আমি তোমাদের জন্য বোন হতে চাই না। আমি একজন গর্বিত
    মুসলিমাহ, হযরত মুহাম্মাদ (স) এর অনুসারি, হযরত আবু বক্কর (রা), উমার
    (রা), উসমান (রা), আলি (রা) এবং তার সকল সাহাবী ও তার সকল সঠিক ও
    সত্যপন্থী অনুসারীদের কন্যা। আমি তোমাদের বোন হতে
    চাই না। আমার নবী (স) এবং হযরত আবু বক্কর (রা), উমার (রা), উসমান
    (রা), আলি (রা) এবং তার সকল সাহাবী ও তার সকল সঠিক ও
    সত্যপন্থী অনুসারীরাই আমার উদ্ধারকারী এবং আমি আল্লাহর
    কাছে করুণা ও সাহায্য চাই, তোমাদের কাছে নয়।
    আমি কোনো পাকিস্তানি হতে চাই না যাদের রয়েছে ৬ লক্ষ
    সৈন্যবাহিনী, বিশেষ ফোর্স এস.এস.জি কিন্তু তারা আমাকে রক্ষা
    করতে ব্যার্থ হয়েছে। তারা আমাকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি
    দিয়েছিল কিন্তু যখন আমি সাহায্যের জন্য তাদের দিকে তাকিয়ে
    থাকলাম তখন তারা আমাকে প্রত্যাখান করল। আমার সেই মুসলিম
    উম্মাহ বলে ডাকা লোকদের রয়েছে লক্ষ লক্ষ সৈন্যবাহিনী
    সব ধরনের টাঙ্ক, বন্দুক, জঙ্গি বিমান, সাবমেরিন। কিন্তু তারা এখন
    পর্যন্ত আমাকে উদ্ধার করতে এবং বাঁচাতে পারে নি। কিয়ামাতের
    দিন আল্লাহর কাছে জবাব দেয়ার ব্যাপারে তোমাদের চিন্তার কিছু
    নেই কারন তোমাদেরকে এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নও করা
    হবে না এবং তোমাদেরকে কোনো উত্তরও দেয়া লাগবে না
    এজন্য যে তোমরা কেউ মুসলিম হিসাবে আমার ভাই নও, এবং ইসলাম
    ধর্মের জন্য ও ইসলামের অন্তর্ভুক্তির জন্য আমার ভাই নও।
    তোমরা কেউ আরব, কেউ পারসিয়ান, কেউ ফিলিস্তীনি, কেউ
    আম্রিকান, কেউ অ্যারাবিয়ান, কেউ আফ্রিকান, কেউ মালোয়শিয়ান
    আর কেউ ইন্দোনেশিয়ান, কেউ দক্ষিন এশীয়ান হতে
    পারো, তবে তোমরা কেউ মুসলিম নও। আমার কথায় যদি তোমরা
    আঘাত পেয়ে থাক তাহলে আমি খুবই দুঃখিত কিন্তু তোমরা কেউ
    এটা চিন্তাও করতে পারবে না যে, আমি কী ধরনের অবস্থায়
    আছি এবং কেমন আঘাতপ্রাপ্ত।
    _ _ড.আফিয়া সিদ্দিকা        https://www.facebook.com/islamicnews24hours/?ref=hl


    মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পরে বিচারকরা কলমের নিব ভেঙে ফেলেন কেন?

    By: Unknown On: 12:07
  • Share The Gag

  • এ কথাটি হয়তো অনেকেরই অজানা, মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পরে বিচারক বা বিচারপতিরা কলমের নিব ভেঙে ফেলেন! এমন কথা শুনে হয়তো অনেকেই চমকে উঠতে পারেন। কিন্তু না, সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই এই রেওয়াজ চলে আসছে। আজকের দিন পর্যন্ত এটি চলছেই। তবে প্রশ্ন হলো কেন?
    আর উত্তর, কারণ একটি নয়, একাধিক। প্রথমত, এটি একটি প্রতীকী বি‌ষয়।
    ব্যাখ্যা হল, যে কলম একজনের জীবন নিয়ে নিয়েছে, তা যেন আর কারো জীবন নিতে না-পারে।
    দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটি এর সঙ্গেই সম্পৃক্ত। বলা হয়, বিচারক বা বিচারপতি ওই মৃত্যুদণ্ড এবং তা থেকে প্রসূত অপরাধবোধ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে চান। সে কারণেই নিবটি ভেঙে ফেলেন।
    একজন বিচারক বা বিচারপতি তার দেয়া মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে নিতে পারেন না। তৃতীয় ব্যাখ্যা হিসেবে বলা হয়, তিনি যাতে কোনোভাবেই মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে নেয়ার কথা ভাবতে না পারেন।
    শেষ ব্যাখ্যা, সব মৃত্যুই দুঃখের। কিন্তু কখনো মৃত্যুদণ্ডের মতো চরম শাস্তির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই কলমের নিব ভেঙে ফেলা হয় এটা বোঝাতে যে, মৃত্যুদণ্ড দুঃখজনক ব্যাপার।

    গুলিবিদ্ধ সুরাইয়ার ডান চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।

    By: Unknown On: 11:17
  • Share The Gag

  • মাগুরায় মায়ের পেটে গুলিবিদ্ধ সুরাইয়ার ডান চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।
    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই চোখ দিয়ে দেখার কোনো সম্ভাবনা নেই। এর প্রভাবে তার বাম চোখও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
    মঙ্গলবার সুরাইয়ার মা নাজমা পারভীন বলেন, ‘পেটের ভিতরে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণে বেঁচে গেলও এক বছরের শিশু সুরাইয়া ডান চোখে আর কখনোই দেখবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ’
    এর আগে সোমবার নাজমা এবং তার স্বামী বাচ্চু মিয়া সুরাইয়াকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে বাংলাদেশ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কাজী সাব্বির আনোয়ারের পরামর্শ নেন।
    পরীক্ষা করে সাব্বির আনোয়ার জানান, সুরাইয়া ডান চোখে এখন কিছুই দেখে না। ভবিষ্যতেও দেখার সম্ভাবনাও নেই। বাম চোখ ভালো রাখতে হলে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে।
    গত বছর ২৩ জুলাই মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় এলাকায় ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ হয় সুরাইয়া। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাকে মায়ের গর্ভ থেকে বের করা হয়। এ সময় আব্দুল মমিন নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ভাগ্যচক্রে বেঁচে যায় পেটের ভিতর গুলিবিদ্ধ সুরাইয়া

    সেনানিবাস নিয়ন্ত্রন নিতে আওয়ামী লীগ-ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার অপারেশন !

    By: Unknown On: 22:25
  • Share The Gag
  • অনেক তো চিল্লাপাল্লা করলেন তনুকে নিয়ে। আসুন,এবার নতুন কিছু শুনুন। গাঁজাখুরী গল্প বলে উড়িয়ে দিবেন না। আর দশটা ধর্ষন-কাহিনীর মত তনুর ধর্ষন স্রেফ একটা ধর্ষন নয়,এরপেছনে রয়েছে গভীর এক ষড়যন্ত্র। অবিশ্যাস্য হলেও এটাই সত্য।
    :
    সেনানিবাস নিয়ন্ত্রন নিতে আওয়ামী লীগ-ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার অপারেশন !
    .
    গত সপ্তাহে দেশের সেনানিবাসগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য হঠাত করে তৎপর হয়ে উঠে আওয়ামী লীগ মন্ত্রী পরিষদ । নিজেদের আওতায় আনার জন্য ‘সেনানিবাস আইন, ২০১৬’-এর খসড়া প্রস্তাব উঠেছে মন্ত্রী সভায় । মজার ব্যাপার হচ্ছে এমন একটি গুরুত্বপুর্ন প্রস্তাব আনার আগে যাদের জন্য এই আইন সেই তিন বাহিনীর কোন মতামত নেয়া হয়নি । ফলে তিন বাহিনী আইনটিতে আপত্তি করে। ভেস্তে যায় সেনানিবাস নিয়ন্ত্রন নেয়ার আওয়ামী পরিকল্পনা ।
    দেশের সব কিছু এখন আওয়ামী লীগ ও ভারতের আজ্ঞাবহ হলেও কিছু কিছু প্রতিষ্টানকে এখনো পুরো তাদের নিয়ন্ত্রনে আসেনি। ওদিকে বাংলাদেশে ভারতের অপদৃষ্টির অনেক গুলো বাধার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অন্যতম । ঐতিহাসিকভাবেই আওয়ামী লীগও সেনাবাহিনীকে বিশ্বাস করে না, এখনোও পারছে না।
    সেনাবাহিনীকে পুরো নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে ওরা বসে থাকেনি। বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনায় আঁকা হয় নতুন ছক । সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতেই সেনানিবাসের মত গুরুত্বপুর্ন জায়গায় বেছে নেয়া হয় এই অপারেশান যাতে নাকি অংশ নেয় ভিন দেশী কিছু গোয়েন্দা কর্মী । ভিক্টিম হয় তনু।
    :
    সেনানিবাসের ভিতরে হত্যাকাণ্ড যে গভীর পরিকল্পনার ফল তা বুঝা যায় কট্রর ভারতপন্থি হিসেবে সুপরিচিত শাহাবাগী ইমরান এইচ সরকারের কথায়। তনু হত্যাকান্ডের পর পরেই তিনি দাবী করেন, 'এই হত্যাকাণ্ডে অনেক উপর তলার লোক জড়িত ' । ইনিয়ে বিনিয়ে তিনি সেনাবাহিনীকেই দায়ী করেন। ওদিকে আরেক ভারতবান্ধব নাট্যকার নাসির উদ্দিন বাচ্চু সরকারি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সেনাবাহিনী জড়িত এমন ইংগিতও দেন।
    :
    মজার ব্যাপার হচ্ছে, দেশের খুন ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডে ইমরান-বাচ্চুদের টু শদ্ধ করতে না দেখা গেলেও তনু হত্যাকান্ডে তারা প্রথন দিন থেকেই সরব। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে, কোন রকম তদন্ত ছাড়াই ঘটনায় সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছেন।
    ওদিকে দেশের আওয়ামী বান্দব ও ভারতপন্থি হিসেবে সুপরিচিত মিডিয়াও বসে নেই । চ্যানেল আই লিখেছে,
    তনু ইস্যুটি সেনাবিরোধী ইস্যুতে রূপ নিচ্ছে নাতো? - collected from indian doctrine page.
    কিছুদূর পর পর জুতা, চুল, মোবাইল ফেলে যাওয়া যাতে করে যে কেউ লাশ পেয়ে যায়।
    মনে হচ্ছে যেন আর্মি নিজেকে নিজেই অপরাধী প্রমাণ করতে চাইছে।
    নাট্যকর্মীর বাকি সব ছবি বেমালুম গায়েব কেবল সুমিষ্ট হাসির হিজাবী ছবি ব্যতিত।
    এক শাহবাগী আগ বাড়িয়ে বলছে যে তাকে কিছু না বলার জন্য আর্মি হুমকি দিয়েছে।
    একি সময়ে এরচেয়ে জঘন্য হত্যাও হয়েছে অথচ এগুলো নিয়ে কোন আওয়াজ নাই।
    সাময়িক উত্তেজনায় ধর্ষণ করা কোন লোক এত নির্মম আঘাত করে কেন মারবে?
    একটি দুর্বল মেয়েকে ধর্ষণ লুকানোর জন্যই যদি হত্যা করা হয় তাহলে আর্মির মত প্রফেশনালদের জায়গামত কয়েকটা আঘাতই যথেষ্ট ছিল।
    কেন আঘাত এমন জায়গায় ছিল যাতে সবাই দেখে আর চরম বর্বরতার উদাহরণ হয়ে থাকে?
    হত্যার দুইদিন আগেই সেনানিবাসকে আইনের আওতায় আনতে চেয়েছিল কারা যা বাহিনীগুলো প্রত্যাখ্যান করল?
    :
    ও ভাইয়েরা, সিকিম আর আমাদের পার্থক্য হল আমাদের আর্মি বেশ শক্তিশালী। এমনকি পীলখানার ঘটনার পরেও।
    দিনের আলোর মত পরিষ্কার একটা ঘটনা কেন বুঝতে পারছেন না?
    শাহবাগ কখন, কার ইস্যুতে, কাদের ইশারায় আন্দোলন করে আপনারা তা ভালই জানেন । ইতি মধ্যে তারা অনেক ধরনের ভিডিও তৈরি করে অনলাইনে প্রচার চালাচ্ছেন এবং ঐই সব ভিডিওতে হিজাব পরা মেয়েদের ব্ক্তব্য দেখা যায় , তারা তনু হত্যার বিচার চায় কিন্তু ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কোন ব্যাপার না তাদের কাছে । তার এই তথ্য জীবন দিয়ে হলেও গোপন রাখতে চায় । অতএব হিজাব পরা কোন শাহাবাগীদের দেখে আপনারা কেউ বিভ্রান্তি হবেন না ।
    তনু নামক মেয়েটি শুধুই বলি হয়েছে। হয়ত মিষ্টি একটি চেহারাই তার খুন হবার কারণ যে চেহারা দিয়ে সহজেই জনগণের মাঝে এন্টি- আর্মি সেন্টিমেন্ট তৈরী করা যায়।
    হয়ত আমাদের অনেকের জীবন হুমকির মুখে যারা এই RAW ব্যাপারগুলো তুলে ধরছি। ভেবে দেখবেন কি?
    একটু চিন্তার জন্য আপনাদের কাছে অনুরুধ থাকল।

    কেন ভিটামিন এ খাওয়া জরুরি?

    By: Unknown On: 12:08
  • Share The Gag

  • সুস্থ থাকতে দৈনন্দিন জীবনে প্রায় সব ধরনের ভিটামিন খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ভিটামিন এ। এটি হলো এমন একটি চর্বি দ্রবণীয় এবং শক্তিশালী অ্যান্টিডেন্ট সমৃদ্ধ যৌগ, যেটি আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। এটি ইমিউন সিস্টেমকে সহায়তা করার পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে শরীরের স্বাভাবিক বিভিন্ন কার্যক্রম এবং প্রজননেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাজেই শরীর ঠিক রাখতে পূর্ব সর্তকতা হিসেবে পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন খাওয়া অনেক বেশি জরুরি। এক্ষেত্রে পূর্ণবয়স্কের খাদ্যে নিম্নসীমা: দৈনিক অন্তত ৭০০(মহিলা) ও ৯০০(পুরুষ) মাইক্রোগ্রাম এবং পূর্ণবয়স্কের খাদ্যে উর্দ্ধসীমা: দৈনিক সর্বাধিক ৩০০০(মহিলা ও পুরুষ) মাইক্রোগ্রাম।

    ভিটামিন এ কেন গ্রহণ করবেন?

    ভিটামিন এ সাধারণত রেটিনয়েডস এবং ক্যারটিনয়েডস নামে দুই ধরনের উপাদান নিয়ে গঠিত। এগুলো নিম্নরুপ:

    রেটিনয়েডস
    এই যৌগটি চোখের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একইসঙ্গে কোষ, হাড়ের বৃদ্ধি এবং ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি সাধন করে। সাধারণত কলিজা, ডিম এবং দুধে রেটিনয়েডস পাওয়া যায়।

    ক্যারটিনয়েডস
    পাতা কপি, গাজর প্রভৃতি নানা ধরনের শাকসবজি এবং ফলমূলে সাধারণত ক্যারটিনয়েডস পাওয়া যায়। রেটিনয়েডসের মতো এটিও সুন্দর ত্বক এবং চোখের জন্য ভালো। আবার ইমিউন সিস্টেমকেও সাহায্য করে এটি।

    ভিটামিন এ সমৃদ্ধ কিছু খাবার-
    বিভিন্ন ধরনের খাবারে ভিশেষ করে শাকসবজি এবং ফলমূলে সাধারণত ভিটামিন এ পাওয়া যায়। এর মধ্যে মিষ্টি আলু, গরুর কলিজা, পালংশাক, গাজর, আম, পাতাকপি, ব্রোকলি প্রভৃতি অন্যতম।

    ভিটামিন এ এর উপকারিতা-
    # দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
    #  হাড়ের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
    # প্রজননে সাহায্য করে
    # কোষের বিভাজন এবং বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
    # ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি সাধন করে
    # ত্বকের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষা করে

    ভিটামিন এ এর অভাবে ক্ষতি-
    ভিটামির এ 'র অভাবে রাতকানা রোগ হতে পারে। এছাড়া এর অভাবে আঁশযুক্ত চামড়া, ভঙ্গুর চুল ও নখ এবং এদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। শুধু তাই নয়, ভিটামিন এ এর অভাবে শরীরে লৌহের মাত্রা কমে যায়, ফলে পরবর্তীতে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তবে এ ভিটামিনের অভাবে সবচেয়ে বেশি ভোগেন বৃদ্ধরা।

    সর্তকতা
    কোন ভিটামিনই বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা ঠিক নয়। অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণের ফলে শরীরে নানা বিষাক্ত উপাদানের জন্ম হয়। যার কারণে মানুষের শরীরে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, ত্বকে জ্বালা, জয়েন্টে ব্যথা প্রভৃতি নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। কাজেই ক্ষতি এড়াতে বেটা ক্যারটিন সমৃদ্ধ খাদ্য উৎস থেকে পরিমিত ভিটামিন এ গ্রহণ করুন।

    কিডনি পরিষ্কার রাখতে যা করা দরকার

    By: Unknown On: 12:03
  • Share The Gag

  • মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে কিডনি অন্যতম। মানুষের শরীরে দুইটি কিডনি থাকে যেগুলো শরীরের পানির ভারসাম্য রক্ষা করে এবং বিভিন্ন দূষিত পদার্থ ছেঁকে ফেলে। কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং শরীরকে আর্দ্র রাখা, কিডনির স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। কিছু জুস রয়েছে যেগুলো কিডনিকে পরিষ্কার করতে বেশ কাজে দেয়। কিডনিকে পরিষ্কার করতে খাদ্যতালিকায় এগুলো রাখতে পারেন। ওয়ান মিলিয়ন হেলথ টিপস জানিয়েছে কিডনি পরিষ্কার করে জুসের কথা।

    বিটের জুস
    বিটের জুস ইউরিনারি ট্র্যাক্টের জন্য উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে বেটাইন। এটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই জুস ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে বাধা দেয়। এটি ক্যালসিয়াম ও ক্রিস্টাল তৈরিও প্রতিরোধ করে। এতে কিডনি ভালো থাকে।

    ক্রানবেরির জুস
    ইউরিনারি ট্র্যাক্টের সমস্যায় ক্রানবেরি জুস খুব প্রচলিত একটি ঘরোয়া উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিকে প্রতিরোধ করে। আর ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ভালো থাকলে কিডনিও অনেকটাই ভালো থাকে।

    পরিষ্কারক জুস
    ফল ও সবজির জুস কিডনিকে পরিষ্কার করতে খুব উপকারী। কারণ, এর মধ্যে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল। এটি শরীরকে পরিশোধিত করতে সাহায্য করে। এটি কিডনি ও লিভারের কার্যক্রম সহজ করে।

    ফলের মধ্যে নিতে পারেন : সাইট্রাস ফল, নাশপাতি, পিচ ফল। এর সঙ্গে মেশাতে পারেন শসা ও পালংশাকের জুস।

    লেবুর জুস
    নিয়মিত লেবুর জুস খাওয়া কিডনিকে পারিষ্কার করে। এটি উচ্চ মাত্রায় এসিডিক। লেবু কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

    ডায়াবেটিস রোগীরা যে ৬ খাদ্যকে প্রাধান্য দিবেন

    By: Unknown On: 11:59
  • Share The Gag

  • ডায়াবেটিস একটি বিপাক জনিত রোগ। ডায়বেটিসের সমস্যা ইদানীং অনেক বেড়ে গেছে। প্রায় প্রতি ঘরেই ডায়াবিটিসের রোগী দেখা যায়। যারা ডায়াবেটিস রোগী সব সময়ের জন্য তাদের চিকিৎসার মধ্যে থাকতে হয়। হঠাৎ করে চিকিৎসা ছেড়ে দিলে তা স্থায়ী অন্ধত্ব, কিডনির রোগ, রক্তবাহ ক্ষতি, নার্ভের ক্ষতি, স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। তাই ডায়বেটিস রোগীদের অনেক বেশি সাবধানতা প্রয়োজন। যদিও এই রোগের কোনো প্রতিকার নেই। খাওয়ার মাধ্যমেই এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। এ কারণে সঠিক খাদ্য নির্ণয় একটি বড় বিষয়। রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখতে খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে সবজি রাখা উচিত।

    বাধাকপি
    ডায়াবেটিকস রোগীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় চোখে। ল্যুটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস হচ্ছে বাধাকপি। এর মধ্যে থাকা ক্যারোটিনয়েড চোখের জন্য ভালো। এ কারণে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বাধাকপি রাখা উচিত। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন বি, আয়রন ও ক্যালসিয়াম আছে।

    বাদাম
    ডায়াবেটিকস রোগীদের অপর একটি ভালো খাবার হচ্ছে বাদাম। এটি রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিকস ঠিক রাখে।

    শিমের বিচি
    প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা শিমের বিচি ডায়াবেটিকস এবং হার্টের ঝুঁকি কমায়।

    বার্লি
    ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য খাদ্য তালিকায় অবশ্যই বার্লি যোগ করা উচিত। এটি রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখে। শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়ায়।

    ওটস
    এর ফাইবার ডায়াবেটিকসের মাত্রা ঠিক রাখে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এতে কম পরিমাণে এলডিএল আছে যা শরীরে ইনসুলিনের উন্নতি করে।

    সামুদ্রিক মাছ
    ভিটামিন ডি এর ভালো উৎস হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ, যেমন স্যালমন। এতে প্রচুর পরিমাণে ওমগা-৩ ফ্যাটি এসিড আছে। এটি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় এবং ইনসুলিনের উন্নতি করে।

    রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখার দাবিতে আজ জামায়াতের হরতাল

    By: Unknown On: 11:45
  • Share The Gag

  • সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে দেশকে ধর্মহীন রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে আজ দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে দলটি। গতকাল রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এ হরতালের ঘোষণা দেন।
    বিবৃতিতে জামায়াত নেতা শফিকুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সাথে এ দেশের মানুষের আবেগ-অনুভূতি জড়িত। এ আবেগ-অনুভূতিকে গুরুত্ব না দিয়ে সরকার যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাহলে তা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। তাই সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে দেশকে ধর্মহীন রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর চক্রান্তের প্রতিবাদে এ দেশের মানুষের আবেগ-অনুভূতির সাথে একাত্ম হয়ে আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ২৮ মার্চ সোমবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ হরতাল আহ্বান করছি। তবে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস ও সংবাদপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।

    পাকিস্তানে ভারতীয় গুপ্তচর গ্রেফতার

    By: Unknown On: 11:34
  • Share The Gag

  • বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে প্রদেশ থেকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসি উইং বা ‘র’-এর এক গুপ্তচরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে। আটককৃত ব্যক্তি ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডার এবং ‘র’তে ডেপুটেশনে তৎপর ছিলেন। ওই গুপ্তচরের নাম কূলভূষণ যাদব। তিনি ১৯৯১ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এবং হুসেন মুবারক প্যাটেল ছদ্মনামে গুপ্তচরবৃত্তি করছিলেন। তবে ভারত এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, আটক ব্যক্তি ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক এক কর্মকর্তা। চাকিরর মেয়াদ শেষের আগে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। তার সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই।

    পাকিস্তান সূত্র জানিয়েছে, আইএসআই’র কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স উইং তাকে গ্রেফতার করে। বেলুচিস্তানে একটি অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার এ গুপ্তচরকে আটক করা হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। আটক গুপ্তচরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইসলামাবাদ নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। বেলুচিস্তানের অনেক সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক তৎপরতায় এই গুপ্তচর জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া করাচিতেও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং সন্ত্রাসী হামলায় এ ব্যক্তি জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।
    বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মির সারাফরাজ বুগতি নিজ প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকা থেকে ভারতীয় গুপ্তচর আটকের খবরটি নিশ্চিত করেছেন। সেখানে নাশকতা এবং সন্ত্রাসী তৎপরতায় এ গুপ্তচর জড়িত ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। সংঘাতময় বেলুচিস্তানের মধ্য দিয়ে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর গিয়েছে আর সেখানেই গুপ্তচরবৃত্তি করছিলেন ভূষণ। এ ঘটনায় ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার গৌতম বাম্বাওয়েলেকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে প্রতিবাদপত্র ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। গৌতমের কাছে এ ঘটনার ব্যাখ্যাও দাবি করে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পাকিস্তানের অখন্ডতা এবং বেলুচিস্তানে ভারতের গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে কোনো আপস করা হবে না।
    এদিকে, বেলুচিস্তান থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন অফিসার কূলভূষণ যাদবকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতারের খবরে অস্বস্তিতে পড়েছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছে নৌবাহিনী থেকে অবসরে যাওয়া ওই ব্যক্তির সঙ্গে ভারত সরকারের কোনও যোগাযোগ নাই। ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশনের অফিসারেরা যাতে আটক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে পারেন, সেই দাবিও জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শীঘ্রই ভারত এবং পাকিস্তানের শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে ওয়াশিংটনে। সেখানে পরমাণু নিরাপত্তা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও নওয়াজ শরিফ। ঠিক তার আগেই এই ঘটনায় দু’দেশের মধ্যে নতুন করে তিক্ততা সৃষ্টি হল।
    ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে গতকাল পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, ‘র’-এর এক অফিসার অবৈধভাবে বেলুচিস্তানে ঢুকে ষড়যন্ত্রমূলক কাজকর্ম চালাচ্ছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব। বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি দাবি করেছেন, ওই ভারতীয় নাগরিক সেখানে পৌঁছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করছিলেন। ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসের মদদ দিতেও সক্রিয় ছিলেন আটক ভারতীয় নাগরিক কূলভূষণ।
    ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেন, আমরা আটক ব্যক্তির সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের যোগাযোগের সুযোগ চেয়েছি। কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা গলানোর অভিপ্রায় ভারতের নেই। সাউথ ব্লক অবশ্য দাবি করেছে, গোটা অঞ্চলের অগ্রগতির স্বার্থে শান্ত এবং সুস্থির পাকিস্তানই ভারতের কাম্য। তবে পাকিস্তানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কূটনৈতিক পারদ কিছুটা চড়ল বলেই মনে করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি কাঠমান্ডুতে ভারত-পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাশাপাশি বসে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করার পক্ষে কথা বলছিলেন। আজ রোববার পঠানকোট বিস্ফোরণের তদন্ত করতে যাচ্ছে পাকিস্তানের বিশেষ তদন্তকারী দল। তার আগে এই ধরনের ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয় বলে বলা হয়েছে।

    আপিল বিভাগে দণ্ডিত দুই মন্ত্রী কামরুল ও মোজাম্মেল: ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ড ।

    By: Unknown On: 10:57
  • Share The Gag


  • ঢাকা: আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
    সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।

    এর আগে, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কামরুল নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবার নতুন করে আবেদন করেছিলেন। মোজাম্মেলও আগেই ক্ষমা চেয়ে তার আবেদন আদালতে জমা দিয়েছিলেন।

    গত ৫ মার্চ ঢাকায় এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে মীর কাসেমের আপিলের পুনঃশুনানির দাবি তোলেন কামরুল।

    তিনি বলেন, আপিলের শুনানিতে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন দলের কাজ নিয়ে প্রধান বিচারপতির অসন্তোষ প্রকাশের মধ্য দিয়ে ‘রায়েরই ইঙ্গিত’ মিলছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকও প্রধান বিচারপতির মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।
    তাদের ওই বক্তব্য সে সময় তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়। মীর কাসেমের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং বিএনপি নেতারা মন্ত্রীদের বক্তব্যকে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ আখ্যায়িত করে বলেন, এটা বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ।

    এ ধরনের মন্তব্য এড়ানোর পাশাপাশি সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বিতর্কিত বক্তব্যে যুদ্ধাপরাধের বিচারই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
    এরপর ৮ মার্চ মীর কাসেমের চূড়ান্ত রায় ঘোষণার আগে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা আপিল বিভাগের সব বিচারককে নিয়ে বসে দুই মন্ত্রীকে তলবের আদেশ দেন।

    দুই মন্ত্রীর দেওয়া যে বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে এসেছে তা বিচার প্রশাসনের ওপর হস্তক্ষেপ এবং সুপ্রিম কোর্টের সম্মান ও মর্যাদাকে হেয় করার শামিল বিবেচনা করে কারণ দর্শাও নোটিস দেওয়া হয় তাদের।
    ওই বক্তব্যের কারণে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কার্যক্রম কেন শুরু করা হবে না- তা ১৪ মার্চের মধ্যে জানাতে বলা হয় নোটিসে। সেই সঙ্গে দুই মন্ত্রীকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

    আর মীর কাসেমের আপিল মামলার রায়ে ট্রাইব্যুনালের দেওয়ার সর্বোচ্চ সাজার আদেশই আপিল বিভাগ বহাল রাখে।

    আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ১৫ মার্চ সকালে আদালতে হাজির হন। অন্যদিকে বিদেশ সফরে থাকা খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। এরপর আপিল বিভাগ দুই মন্ত্রীর হাজিরার জন্য ২০ মার্চ নতুন তারিখ ঠিক করে দেয়।
    ওইদিন তারা দুজনেই হাজির হলে আদালত জানায়, কামরুলের জবাব যথাযথ হয়নি। তাকে আবার ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য ২৭ মার্চ দিন ঠিক করে দেয় আদালত। মোজাম্মেলকেও একই দিনে হাজির হতে বলা হয়।

    মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ আলী এখন ভিক্ষুক

    By: Unknown On: 10:51
  • Share The Gag

  • ভিক্ষে করে দিন চলে মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ আলীর। দারিদ্র্যের কষাঘাতে তিনি এপথ বেছে নিয়েছেন।

    উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল জানিয়েছে, দেশ স্বাধীন করতে জীবন বাজি রেখেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ আলী। অথচ আবেদন করেও মুক্তিযুদ্ধের পরিচয়পত্র বা গেজেটে নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ আলীর। সে কারণে সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পান না তিনি। তাই শেষ বয়সে ভিক্ষা করেই জীবন চলে দেশের এই সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ আলীর।
    জেলার মিরপুর উপজেলা শহর থেকে দুই মাইল দক্ষিণে অঞ্জনগাছি গ্রামের বাসিন্দা মুরাদ আলী। সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভিক্ষা করতে যাওয়ায় তার দেখা মিলল গ্রামের এক বাঁশবাগানে। তিনি জানালেন, বয়সের কারণে আর আগের মতো দূর-দূরান্তে ভিক্ষার থলি কাঁধে ঝুলিয়ে যেতে পারেন না। একটু হাঁটতেই হাঁপিয়ে ওঠেন। পাঁচ বাড়িতে ভিক্ষার পর একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন বাঁশবাগানে। বর্তমানে তিনি প্যারালাইসিসে আক্রান্ত, দৃষ্টিশক্তিও কমেছে।
    মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ আলী জানান, একাত্তরে দেশমাতৃকার টানে যুদ্ধে যোগ দেন। কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে সম্মুখযুদ্ধসহ বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশ নেন তিনি। নিজের জীবন বাজি রেখে তিনি দেশকে হায়নামুক্ত করতে পারলেও যুদ্ধ-পরবর্তী জীবনযুদ্ধে পরাজিত হয়েছেন তিনি।
    সরেজমিনে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একটি মাত্র ছোট্ট ভাঙা কুঁড়েঘর। পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রতিদিন তাকে বের হতে হয় ভিক্ষার থলি নিয়ে। ৬৮ বছর বয়সেও মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পাততে হয় একমুঠো ভাতের জন্য।
    তার আবেদনপত্রে একই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গনি, আরজুল হক ও ছাত্তার ঘোষণা দিয়েছেন মুরাদ আলী যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধ শেষে তিনি অস্ত্র জমা দেন। তিনি সম্মুখযুদ্ধসহ বিভিন্ন জায়গায় খ- খ- যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।
    স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারাসহ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল মুরাদ আলীর যুদ্ধে অংশগ্রহণের ব্যাপারটি স্বীকার করলেও দেশের এই সূর্য সন্তানের নাম গেজেটভুক্ত হয়নি। তার পরিবারের সদস্যরা জানান, গেজেটভুক্ত হওয়ার নামে বারবার প্রতারিত হয়েছেন তারা। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা দুদফায় তার কাছ থেকে টাকাও নিয়েছেন তলিকাভুক্ত করার নামে।
    তাদের দাবি, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রীর বাসায় মুরাদ আলী গেলে মন্ত্রী তার হাতে এক হাজার টাকা ধরিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। গেজেটভুক্ত করার আশ্বাস দিলেও কাজ হয়নি। অর্থাভাবে এসএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করা হয়নি মুরাদ আলীর মেয়েটির।
    মিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার নজরুল করিম নিশ্চিত করে বলেন, আমি খোঁজ-খবর নিয়েছি, মুরাদ আলী প্রকৃতই একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সরকারি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবেদন করেছেন। আশা করি দ্রুতই তার নাম তালিকভুক্ত করে দেবে সরকার।
    এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর আমি মন্তব্য করব। তিনি বিষয়টি শোনার পর মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

    বাঁচাও, বাঁচাও,আমাকে বাঁচাও

    By: Unknown On: 10:03
  • Share The Gag


  • ✪ অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া পূর্ণিমাকে যখন ধর্ষণ
    করা হচ্ছিল, এত মানুষ দেখে পূর্নিমার মা
    ধর্ষকদের বলছিলো " বাবারা, আমার
    মেয়েটা ছোট তোমরা একজন একজন করে
    এসো, ও মরে যাবে।
    ✪ আমাকে একফোটা পানি দাও, তাকে
    বলা হল পানির বদলে শরীরের ঘাঁম খ,
    ( মৃত্যু পথযাত্রী সিলেটের রাজন )
    ✪ আমি বাঁচতে চাই, আমি বাঁচতে চাই যে-
    ভাবেই হোক আমাকে বাঁচাও। আমার দুধের
    সন্তানটার কি হবে ??
    ( রাজনীতির আগুনে দগ্ধা হয়ে এভাবেই
    বাঁচার আকুতি চিৎকার করে জানিয়ে
    ছিলেন মৃত্যু পথযাত্রী গার্মেন্টস শ্রমিক
    শায়লা।)
    ✪ আমার সন্তান কে আমার বুকে ফিরিয়ে
    দাও !! আমি আর কখনো আসবোনা।
    তোমাদের পায়ে ধরি আমাকে ছেড়ে
    দাও..... ( অজ্ঞান হওয়ার আগ পর্যন্ত
    হায়েনাদের পায়ে ধরে এভাবেই আকুতি
    জানিয়েছিল পহেলা বৈশাখে টিএসসির
    মোড়ে লাঞ্চিত বোনটি।)
    ✪ ওরা আমাকে দুদিন আটকে রেখে
    পালাক্রমে ধর্ষন করেছিল। হাতে ধরেছি
    পায়ে ধরেছি কিন্তু আমাকে তারা
    ছাড়েনি। বারবার আমি জ্ঞান
    হারেয়েছি...
    ( বুক ভরা হাহাকার নিয়ে কেঁদে কেঁদে
    নালিশ করছিলো মেডিকেল কলেজে পড়তে
    আসা কাশ্মীরের ধর্ষিতা বোনটি।)
    ✪ অসভ্য ভারতীয়দের কাঁটাতারে দুদিন ধরে
    ঝুলেছিল আমার বোন "ফেলানী"।
    ( তাঁর আত্মচিৎকার এই অসভ্য মানবতার
    দুয়ারে কষাঘাত করেনি...)
    ✪ আমাদেরকে জোর করে মৃত্যুর দিকে
    ঠেলে দেয়া হলো। এ অর্থ লিপ্সু মালিকদের
    ঘৃণ্য রাজনীতির বলি হলাম আমরা..।
    (রানা প্লাজার শ্রমিকরা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত
    এভাবেই চিৎকার করেছিল।)
    না ভাই আমি আপনাকে আইয়ামে
    জাহিলিয়তের কোন রগরগা কাহিনী
    বলতেছিনা। তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের
    বর্ণনা অনুযায়ী মধ্যযুগীয় কোন বর্বরতার
    কথা বলছিনা।
    বলছি এ সভ্য দুনিয়ার কথা...
    বলছি এ বাংলাদেশের কথা...
    বলছি আমার মায়ের হাহাকার,
    বলছি আমার বোনের আত্মচিৎকার এর
    কথা.... .
    আমি আ"লীগ বুঝিনা বিএনপি বুঝিনা!
    আমি আমার বোনের ইজ্জতের নিরাপত্তা
    চাই... .
    আমি গনতন্ত্র বুঝিনা রাজতন্ত্র বুঝিনা
    আমি আমার মায়ের ইজ্জতের প্রতিশোধ
    চাই.....। -
    আমি আমার দেশের তরুনদের এমন
    নৈতিকতা, শিক্ষা, ঈমানী তেজ দেখতে
    চাই যারা আমার বোনের দিকে লালায়িত
    জিহ্বা টেনে ছিড়ে ফেলবে.....।
    যারা আমার বোনের দিকে তাকিয়ে
    থাকা চক্ষু উপড়ে ফেলবে...।
    যারা আমার বোনের ধর্ষন কারীদেরকে
    জীবন্ত কবর দিবে....... -।
    লেখাটি পড়ে যদি আপনার মুষ্টিবদ্ধ হাত
    প্রতিবাদি হয়ে আকাশ পানে উঠে তবে
    আমি সার্থক।

    বিচার বিভাগ আজ কোথায় ?

    By: Unknown On: 10:54
  • Share The Gag


  • যেখানে মানবতা আজ পদে পদে ধর্ষিত, সেখানে তনুদের বেচে থাকার কোন অধিকার নেই, ওদের জন্মই হয়েছে ধর্ষিত হয়ে খুন হওয়ার জন্য, আর তনুরা যদি হয় হিজাবি তাহলেতো আর কোন কথাই নেই, ওদের ধর্ষন ও খুনের কথা মিডিয়ায় আসাটা পাপ, বিচার চাওয়াটা মহাপাপ।
    সোহাগী জাহান তনু, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। অলিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইয়ার হোসেনের মেয়ে। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে সোহাগী অলিপুরেই এক বাসায় টিউশনি করতেন। ঊনিশ বছর বয়সী এই মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে আর হত্যার ঘটনা ঘটেছে খোদ সেনানিবাসে !
    কারো মুখে উচ্চবাচ্য নেই। বড় পত্রিকাতেও কিছু সংবাদ নেই। ক্যান্টনমেন্টের মত স্থানে নিরাপদ নয়, ধর্ষণ করার পর হত্যা, এটি কি এতই সহজ একটি ব্যাপার ? একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্র ঠিক কোন পর্যায়ে গেলে এ ধরণের ভয়ংকর জঘন্য অপরাধগুলো ডাল ভাত হয়ে যায়, জানিনা। একটি দেশ চেতনার ব্যারোমিটারে পারদের উচ্চতা কতটা হাই থাকলে এইসব অপরাধী নিয়ে কথা বলা নিষেধ ?? নাকি এই মেয়ে হিজাবী দেখে কথা বলা যাবেনা ? সংখ্যালঘু কেউ হলে এতক্ষনে ফেইসবুক আর নিউজ পেপারগুলো প্রতিবাদের তুবড়ি ছুটিয়ে দিতো। সোহাগীকে নিয়ে কিছু নেই কেন ?? এই কিশোরী মেয়েটির জীবন কি জীবন না ? তার কি স্বপ্ন ছিলোনা ? সুশীল সমাজ ও আম জনতা জবাব দেবেন কি ???
    রাস্তার ওপর পড়ে আছে জুতা, ছেড়া চুল, একটু দূরে মোবাইল ফোন আর একটু দূরে গলা কাটা লাশ, কান থেকে তখনো রক্ত ঝরে পড়ছে... ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে সোহাগীকে।
    ঘটনাটা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট সেনানিবাস এলাকায়। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী।
    দেশের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হিসেবে ধরা হয় ক্যান্টনমেন্ট এলাকাগুলোকে। এবার সেখানেও নরপিশাচদের থাবা পড়লো.. সবচেয়ে নিরাপদ জায়গাতেই যদি সন্ধ্যায় একেবারে চেকপোস্টের কাছেই ধর্ষন হত্যা হয় তাহলে আর কোথায় নিরাপদ থাকবো আমরা?
    ঘটনার দুদিন পরেও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। মামলায়ও কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি। তাহলে কি হাজার ঘটনার ভিড়ে বিচার ছাড়াই ধামাচাপা পড়ে যাবে আরেকটি হত্যাকান্ড?
    আর কতোকাল চুপ থাকবো আমরা?
    আর কতোবার পরাজিত হবো আমরা?
    ঘাতকেরা আর কতোবার বিজয়ী হবে?
    আর চুপ নয়। কাল বিকেল ৪.৩০ এ সময় কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট নাজিরা বাজার সংলগ্ন পুলিশ ফাড়ি রাস্তার কাছে গনঅবস্থান এবং সন্ধ্যায় মশাল ও মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করবো আমরা। সাথে থাকবেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, ইস্পাহানী কলেজ এবং এলাকার ছোট-বড় সকল জনসাধারন...
    আর হ্যা কে থাকবে বা থাকবে না ফ্যাক্ট না। আপনি পারলে চলে আসুন। ওরা আজ সোহাগীকে মেরেছে, কাল আমার বোনকে মারবে, পড়শু আপনার বোনকে মারবে...
    সোহাগীরা বাচতে চায়
    ওদের বাঁচতে দিন...
    দাবি শুধু একটাই..
    .
    সোহাগী আমার বোন
    আমি বোন হত্যার বিচার চাই
    সোনার দেশের আজব প্রানী আমরা!
    এর চেয়েও বেশি আজব এদেশের আইন!
    :
    যে দেশে ধর্ষনে সেঞ্চুরী করার কারনে
    তাকে সরকারী ভাবে পুরুস্কৃত করা হয়।
    সে দেশে ধর্ষনের বিচার চাওয়া/পাওয়া
    আলাদিনের চেরাগের চেয়েও আশ্চার্য।
    যে দেশে ৪০ বছর আগের ধর্ষনের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়।
    সেই ট্রাইবুনাল দ্বারা আবার ধর্ষিত হয়
    এদের আইন-আদল-ইহসান।
    কিন্তু,ডিজিটার যুগে এসেও বিচার
    হয়না কোন ধর্ষিত হায়নার।
    যে দেশের নিরহ মানুষকে খুন করার
    জন্য বরাদ্দ হয় কোটি কোটি টাকা,
    সে দেশে খুনের বিচার চাওয়া/পাওয়া
    আসমানে বসত ঘর তৈরী করার মত।
    যে দেশে ক্রিকেটে ১ রানে হেরে যাওয়ার
    কারনে কেঁদে বুক ভাসাই।
    কিন্তু,কাঁদে না আমাদের মন হিংস্র
    জানোয়ারের থাবায় ধর্ষিত হয়ে
    জীবন চলে যাওয়ার তনুর জন্য!!

    মুসা(আঃ) এর সময়কার একটি ঘটনা

    By: Unknown On: 10:33
  • Share The Gag

  • হযরত মুসা (আ:) একবার আল্লাহ তা'আলার কাছে আরজ করলেন,
    হে-দয়াময় প্রভু! আমার উম্মতের মধ্যে কে সবচেয়ে'খারাপ ব্যক্তি আমাকে দেখিয়ে দাও।
    অদৃশ্য থেকে আওয়াজ এলো,ঠিকাছে আগামীকাল সকালে তুমি পথের ধারে বসে থেকো। যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম এই পথ অতিক্রম করবে, সে ব্যক্তি-ই হলো তোমার উম্মতের সবচেয়ে' খারাপ। হযরত মুসা (আ:) ঠিক সময়মত নির্দিষ্টস্থানে বসলেন। কিছুক্ষণ পর দেখলেন এক ব্যাক্তি একটি ছোট ছেলে কুলে করে তাঁকে অতিক্রম করলো। হযরত মুসা (আ:)তাকেদেখে মনে মনে বললেন, ওহ্ এইব্যাক্তি-ইআমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে 'খারাপ।.
    কিছুক্ষণ পর হযরত মুসা (আ:)-র ইচ্ছা হলো তাঁর উম্মতের সবচেয়ে' ভালো ব্যাক্তিকে দেখতে। আল্লাহ'র নিকট এবার আরজ করলেন, হে- দয়াময় প্রভু ! এবার আমার উম্মতের মধ্যে কে সবচেয়ে' ভালোব্যাক্তি আমাকে দেখাও।.
    আওয়াজ এলো, হে- মুসা! পথের ধারে বসো, সন্ধ্যা বেলায় যে ব্যাক্তি সর্বপ্রথম আসবে, সে-ই হলো তোমার উম্মতের মধ্যে সবচে'ভালো। সন্ধ্যা বেলায় হযরত মুসা (আ:)নির্দিষ্টস্থানে বসলেন। কিছুক্ষণ পর দেখলেন সকালের সে ব্যাক্তি-ই ছোট ছেলেকে কোলে করে ফিরতিপথে আসছে।
    তাকে দেখে হযরত মুসা (আ:)অত্যন্ত অবাক হলেন এবং গভীর চিন্তায় পড়ে গেলেন। হযরত মুসা (আ:) আল্লাহ'র নিকট আরজ করলেন,
    হে-দয়াময় প্রভু! আমি একী দেখতেছি! সকালে যে সবচেয়ে 'খারাপ ছিলো, সন্ধ্যায় সে কিভাবে সবচেয়ে 'ভালো হয়ে গেলো? অদৃশ্য থেকে মহান স্রষ্টা আল্লাহ উত্তর দিলেন, হে- মুসা!সকালে যখন এই ব্যাক্তি ছেলেকে সাথে নিয়ে তোমাকে অতিক্রমকরে জঙ্গলে প্রবেশ করলো, তখন ছেলে তাকে প্রশ্ন করে ছিলো, বাবা! এই জঙ্গল কতবড়? সে ব্যক্তি উত্তরে বলেছিলো, অনেক বড়। .ছেলে আবার প্রশ্ন করলো, বাবা! জঙ্গল থেকে কি বড় কোনো কিছু আছে? তখন বাবা বলেছিলো, হ্যাঁ বাবা! ঐপাহাড়গুলো জঙ্গল থেকে বড়। ছেলে পুনরায় প্রশ্ন করলো,পাহাড় থেকে কি বড়কিছু আছে? বাবা বললো, আছে, এই আকাশ। ছেলে আবার প্রশ্ন করলো, আকাশ থেকে কি
    বড় কিছু আছে? সেই ব্যক্তি বললো,হ্যাঁ, আমার পাপ এই আকাশ থেকেও বড়। ছেলে বাবার এ উত্তর শোনে বললো,বাবা! তোমার পাপ থেকে বড় কি কোনো কিছু নেই? তখন সেই ব্যক্তি চিৎকার দিয়ে কান্না করে লজ্জিত হয়ে গম্ভীর সুরে বললো, আছে বাবা! আমার পাপ থেকেও আল্লাহ'র রহমত অনেক বড়। .হে-মুসা! এই ব্যক্তির পাপের অনুভূতি ও অনুশোচনা আমার এতো পছন্দ হয়েছে যে,আমি তাঁকে তোমার উম্মতের সবচেয়ে 'খারাপ ব্যক্তিকে সবচেয়ে' ভালোব্যক্তি বানিয়ে দিয়েছি।আল্লাহু আকবর।। হে আল্লাহ তুমি আমাদের সকলকে পিছনের গুনাহের কথা সব সময় স্বরণ করে সামনের দিনগুলোকে সত্যপথে চলার তাওফিক দান করো।-----আমিন।

    ধর্ষণ করতে গিয়ে লিঙ্গ হারালেন আওয়ামী লীগ নেতা

    By: Unknown On: 11:23
  • Share The Gag

  • পাবনার চাটমোহরে অন্যের স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টকালে এক সন্তানের জনক এক আওয়ামী লীগ কর্মীর পুরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ভোর রাতে উপজেলার চরনবীন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
    হান্ডিয়াল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
    এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, হান্ডিয়াল ইউনিয়নের চরনবীন গ্রামের মৃত ছামাদ ফকিরের ছেলে জাইদুল (৩৫) উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের হাসান আলীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী রাবেয়া (২৫) পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে তার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বুধবার ভোর রাতে জাইদুল রাবেয়ার সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করলে রাবেয়া ব্লেড দিয়ে জাইদুলের পুরুষাঙ্গ কেটে দেন।
    স্বজনরা গুরুতর আহতাবস্থায় চিকিৎসার জন্য জাইদুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
    ওই গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী আসাদ জানান, বিষয়টি লজ্জাজনক হওয়ায় দিনভর আমরা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। তিনি বলেন, লিঙ্গ কর্তনের শিকার যুবকও একজন আওয়ামী লীগের কর্মী এবং শ্রমিক সরদার।
    চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। তাকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
    চাটমোহর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সরকার জানান, এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।

    দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হোন!

    By: Unknown On: 11:09
  • Share The Gag

  • আপনারা
    দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হোন! সহজে জান্নাতে যাওয়ার এইতো সুবর্ণ সুযোগ
    ইসলামের জন্য লড়াই করার নামই তো জিহাদ,আর জিহাদের মাঠে প্রাণ বিসর্জন দিলেই তো শহীদ, আর শহীদের জন্য উত্তম জান্নাতের ঘোষণাই তো মহান আল্লাহ দিয়েছেন।
    জীবনে কতইনা গুনাহ আমরা করেছি! আল্লাহর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া কি এতো সহজ? কিন্তু একবার যদি তওবা করে সহীহ্ নিয়তে ইসলামের জন্য নিজের জান মাল বিসর্জন দিতে পারি, তাহলে আমার আপনার কপাল কিন্তু খুলে গেলো, নিশ্চয় মহান আল্লাহ ওয়াদা ভঙ্গ করেননা।
    ষোলো কোটি মুসলিমদের দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করবে! এটা কি আপনি মেনে নিতে পারবেন? তাহলে আর বসে থাকবেননা, আপনার শরীরে মহান আল্লাহ রক্ত ক্যালসিয়াম দান করেছেন ইসলামের উপর আঘাত আসলে বসে থাকার জন্য নয়!
    মরতে তো একদিন হবেই, সেই মরণ যদি হয় শহীদি মরণ, তাহলে কেমন হয়? আপনি নিশ্চয় জানেন বর্তমান সরকার শুধু ইসলামের দুশমন নয়! এই সরকার হিটলারের মতো জালেম ও খুনি! যার প্রমান শাপলা চত্বর সহ আরো অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্কার হয়েছে।
    রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রক্ষার জন্য আন্দোলনের মাঠে হিটলার সরকার অবস্যই বৃষ্টির মতো গুলি চালাবে! ইসলামের জন্য কি আমরা পারবো না সেই কুখ্যাত গুলির মোকাবিলা করে এদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রক্ষা করতে? আমরা কি পারব না শহীদি তামান্না নিয়ে ঘর থেকে বাহির হতে? আমরা কি পারবো না বুকের তাজা রক্ত ঝরাতে? তাহলে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকুন।
    বিঃদ্রঃ আমরা জঙ্গীবাদে বিশ্বাসী নই, আমরা ইসলামী সহীহ্ জিহাদে বিশ্বাসী, ইসলামের জন্য আমরা লড়াই করে রক্ত দিতে প্রস্তুত।

    একশতটি কবীরা গুনাহ |

    By: Unknown On: 12:25
  • Share The Gag

  • 1. আল্লাহর সাথে শিরক করা
    2. নামায পরিত্যাগ কর
    3. পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া
    4. অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা
    5. পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা
    6. যাদু-টোনা করা
    7. এতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা
    8. জিহাদের ময়দান
    থেকে থেকে পলায়ন
    9. সতী-সাধ্বী মু‘মিন নারীর
    প্রতি অপবাদ
    10. রোযা না রাখা
    11. যাকাত আদায় না করা
    12. ক্ষমতা থাকা সত্যেও হজ্জ আদায়
    না করা
    13. যাদুর বৈধতায় বিশ্বাস করা
    14. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
    15. অহংকার করা
    16. চুগলখোরি করা (ঝগড়া লাগানোর
    উদ্দেশ্যে একজনের কথা আরেকজনের
    নিকট লাগোনো)
    17. আত্মহত্যা করা
    18. আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা
    19. অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ ভক্ষণ
    করা
    20. উপকার করে খোটা দান করা
    21. মদ বা নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা
    22. মদ প্রস্তুত ও প্রচারে অংশ গ্রহণ
    করা
    23. জুয়া খেলা
    24. তকদীর অস্বীকার করা
    25. অদৃশ্যের খবর জানার দাবী করা
    26. গণকের
    কাছে ধর্না দেয়া বা গণকের
    কাছে অদৃশ্যের খবর জানতে চাওয়া
    27. পেশাব থেকে পবিত্র না থাকা
    28. রাসূল (সাল্লালাহু
    আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর
    নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করা
    29. মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করা
    30. মিথ্যা কথা বলা
    31. মিথ্যা কসম খাওয়া
    32. মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য
    বিক্রয় করা
    33. জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া
    34. সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া
    35. মানুষের গোপন
    কথা চুপিসারে শোনার চেষ্টা করা
    36. হিল্লা তথা চুক্তি ভিত্তিক
    বিয়ে করা।
    37. যার জন্যে হিলা করা হয়
    38. মানুষের বংশ মর্যাদায় আঘাত
    হানা
    39. মৃতের উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে ক্রন্দন
    করা
    40. মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন
    থাকা
    41. মুসলিমকে গালি দেয়া অথবা তার
    সাথে লড়ায়ে লিপ্ত হওয়া
    42. খেলার ছলে কোন
    প্রাণীকে নিক্ষেপ যোগ্য অস্ত্রের
    লক্ষ্য বস্তু বানানো
    43. কোন অপরাধীকে আশ্রয় দান করা
    44. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু
    জবেহ করা
    45. ওজনে কম দেয়া
    46. ঝগড়া-বিবাদে অশ্লীল
    ভাষা প্রয়োগ করা
    47. ইসলামী আইনানুসারে বিচার
    বা শাসনকার্য পরিচালনা না করা
    48. জমিনের সীমানা পরিবর্তন
    করা বা পরের জমি জবর দখল করা
    49. গীবত তথা অসাক্ষাতে কারো দোষ
    চর্চা করা
    50. দাঁত চিকন করা
    51. সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে মুখ মণ্ডলের
    চুল তুলে ফেলা বা চুল উঠিয়ে ভ্রু চিকন
    করা
    52. অতিরিক্ত চুল সংযোগ করা
    53. পুরুষের নারী বেশ ধারণ করা
    54. নারীর পুরুষ বেশ ধারণ করা
    55. বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কামনার
    দৃষ্টিতে তাকানো
    56. কবরকে মসজিদ হিসেবে গ্রহণ
    করা
    57. পথিককে নিজের কাছে অতিরিক্ত
    পানি থাকার পরেও না দেয়া
    58. পুরুষের টাখনুর
    নিচে ঝুলিয়ে পোশাক পরিধান করা
    59. মুসলিম শাসকের সাথে কৃত বাইআত
    বা আনুগত্যের শপথ ভঙ্গ করা
    60. ডাকাতি করা
    61. চুরি করা
    62. সুদ লেন-দেন করা, সুদ
    লেখা বা তাতে সাক্ষী থাকা
    63. ঘুষ লেন-দেন করা
    64. গনিমত তথা জিহাদের
    মাধ্যমে কাফেরদের নিকট
    থেকে প্রাপ্ত সম্পদ বণ্টনের
    পূর্বে আত্মসাৎ করা
    65. স্ত্রীর পায়ু পথে যৌন ক্রিয়া করা
    66. জুলুম-অত্যাচার করা
    67. অস্ত্র দ্বারা ভয়
    দেখানো বা তা দ্বারা কাউকে ইঙ্গিত
    করা
    68. প্রতারণা বা ঠগ বাজী করা
    69. রিয়া বা লোক দেখানোর
    উদ্দেশ্যে সৎ আমল করা
    70. স্বর্ণ বা রৌপ্যের তৈরি পাত্র
    ব্যবহার করা
    71. পুরুষের রেশমি পোশাক এবং স্বর্ণ
    ও রৌপ্য পরিধান করা
    72. সাহাবীদের গালি দেয়া
    73. নামাযরত অবস্থায় মুসল্লির
    সামনে দিয়ে গমন করা
    74. মনিবের নিকট থেকে কৃতদাসের
    পলায়ন
    75. ভ্রান্ত মতবাদ
    জাহেলী রীতিনীতি অথবা বিদআতের
    প্রতি আহবান করা
    76. পবিত্র মক্কা ও মদীনায় কোন
    অপকর্ম বা দুষ্কৃতি করা
    77. কোন দুষ্কৃতিকারীকে প্রশ্রয় দেয়া
    78. আল্লাহর ব্যাপারে অনধিকার
    চর্চা করা
    79. বিনা প্রয়োজনে তালাক চাওয়া
    80. যে নারীর প্রতি তার
    স্বামী অসন্তুষ্ট
    81. স্বামীর অবাধ্য হওয়া
    82. স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর অবদান
    অস্বীকার করা
    83. স্বামী-স্ত্রীর মিলনের
    কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করা
    84. স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাদ
    সৃষ্টি করা
    85. বেশী বেশী অভিশাপ দেয়া
    86. বিশ্বাস ঘাতকতা করা
    87. অঙ্গীকার পূরণ না করা
    88. আমানতের খিয়ানত করা
    89. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
    90. ঋণ পরিশোধ না করা
    91. বদ মেজাজি ও এমন
    অহংকারী যে উপদেশ গ্রহণ করে না
    92. তাবিজ-কবজ, রিং,
    সুতা ইত্যাদি ঝুলানো
    93. পরীক্ষায় নকল করা
    94. ভেজাল পণ্য বিক্রয় করা
    95. ইচ্ছাকৃত ভাবে জেনে শুনে অন্যায়
    বিচার করা
    96. আল্লাহ বিধান
    ব্যতিরেকে বিচার-ফয়সালা করা
    97. দুনিয়া কামানোর
    উদ্দেশ্যে দীনী ইলম অর্জন করা
    98. কোন ইলম
    সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জানা সত্য
    তা গোপন করা
    99. নিজের
    পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলে দাবী ক
    100. আল্লাহর রাস্তায় বাধা দেয়া
    পোস্টটা আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার
    করুন মুসলিম ভাই ।
    যাতে করে আপনার সকল বন্ধুরা আপনার
    কাছে থেকে শিখতে পাড়ে ও
    জানতে পাড়ে ।
    রাসুল (সাঃ) বলেনঃ “তোমাদের
    উপরে দায়িত্ব দিচ্ছি-- তোমরা আমার
    পক্ষ থেকে একটি হাদিস হলেও
    তা প্রচার কর। তবে,
    যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত আমার
    নামে মিথ্যা বলবে, তার আবাসস্থল
    হবে জাহান্নাম।”
    [বুখারী]

    ইসলাম ধর্মই হচ্ছে একমাত্র শান্তির ধর্ম।

    By: Unknown On: 14:32
  • Share The Gag

  • শ্মশানে যখন আমার বাবার লাশ পোড়ানো হয়, তখন তার শরীরে আগুন ধরার সাথে সাথে হাত-পায়ের রগগুলো টানা দেয়, ফলে বাবার লাশটি দাঁড়িয়ে যায়।
    তখন একজন ব্যক্তি বাবার লাশটি শোয়ানোর জন্য লাঠি দিয়ে খুব জোরে জোরে পিটাতে থাকে।
    পিটানোর চোটে হাড় ভাঙার শব্দ পাই আমি। আমার সমস্থ শরীর প্রাণ নিস্তব্ধ হয়ে যায়। নির্বাক আমি তাকিয়ে থাকি। মনে আমার প্রশ্ন জাগে..প্রিয় বাবাটির জন্য কারো কোন মায়া নেই? আমার বাবার প্রিয় সহধর্মিনী আমার মা ও তাকিয়ে থাকে। কিছুই বলেনা।
    এভাবে ক’দিন পর মায়ের মৃত্যুতে….শ্মশানে বড় ভাই মায়ের মুখে আগুন জালিয়ে দেয়। মায়ের তার গায়ের কাপড় পুড়ে গেলে দেখা যায় বিবস্ত্র দেহ। অথচ সারা জীবনে মায়ের বিবস্ত্র দেহ দেখাতো দূরের কথা কেউ.. মূখও ঠিক মত দেখতে পারেনি।
    আমি হিন্দু হলেও এ নির্মম দৃশ্য সহ্য করতে পারিনি। আমি শুনেছি মুসলমানরা কত আদর করে তার প্রিয়জনের লাশ সমাহিত করে। আদর করে গোসল করায়, নতুন কাপড় দেয়, এরপর আদর করেই কবরে নামায় পড়ে, কবরে সরাসরি মাটিচাপাও দেয় না,
    প্রথমে চাটাই বাঁশ দেয়, এরপর মাটি দেয়। কি সুন্দর আয়োজন। মানুষের মৃত্যুতে। এই দুটো বিষয় তুলনা করেই আমি মুসলমান হয়ে যাই।
    “সুবহানআল্লাহ.”.. “সুবহানআল্লাহ” এই দুনিয়াতে ইসলাম ধর্মই হচ্ছে একমাত্র শান্তির ধর্ম।
    তাই আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছি , বুকে নিয়েছি আল কুর'আন
    ..
    পরিচয় গোপন করা হল ,
    সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন

    কালীগঞ্জে সাদা পোশাকে কলেজ ছাত্রকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

    By: Unknown On: 01:25
  • Share The Gag

  • আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে আবুজার গিফারী (২২) নামের এক কলেজ ছাত্র তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে চাপালী গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। গিফারী চাপালী গ্রামের ইসলাম হোসেনের ছেলে। তবে আবুজার গিফারীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন র‌্যাব,ডিবি ও পুলিশের কর্মকর্তারা। পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, আবুজার গিফারী দুপুরে জুমার নামাজ পড়ে বাড়িতে প্রবেশের পর আকস্মিকভাবে ৬/৭ জন ব্যক্তি তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। ]গিফারির পিতা ইসলাম হোসেন জানান, তার ছেলে যশোর এমএম কলেজের বাংলা বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র। শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের পর তার ছেলে বাড়িতে প্রবেশ করছিল। এ সময় ৩ মোটরসাইকেলে আসা সাদা পোশাকে ৬/৭ জন অস্ত্রধারী ব্যক্তি তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে তারা নিজেদের আইন শৃংলখা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দেয়। এরপর থেকে তারা থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে যেয়েও গিফারীর কোন সন্ধান পাননি। কালীগঞ্জ থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, তারা এ ধরনের কাউকে গ্রেফতার করেননি। ঝিনাইদহ ডিবি এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের কোন টিম কালীগঞ্জে আসেনি। বা কাউকে গ্রেফতারও করেনি। তবে ডিবির ওসি এম এ হাশেম খান একটি অনুষ্ঠানে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর সুরুজ মিয়া বলেন, র‌্যাবের কোন টিম আজ কালীগঞ্জে অভিযানে চালায়নি বা কাউকে গ্রেফতারও করেনি।

    রাজকোষ কেলেঙ্কারি: বাংলাদেশকেই দায়ী করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা

    By: Unknown On: 01:18
  • Share The Gag

  • নিউ ইয়র্ক ফেডারেল ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের খোয়া যাওয়া টাকার জন্য ফেডারেল ব্যাংক নয়, বাংলাদেশকেই দায়ী করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয় বলে মন্তব্য তাদের। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আলোচিত এই অর্থ কেলেঙ্কারি নিয়ে সাইবার বিশেষজ্ঞদের অভিমত। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের প্রায় আটশ’ কোটি টাকা নিউ ইয়র্ক ফেডারেল ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। এসব টাকা ফেডারেল ব্যাংক থেকে স্থানান্তর করা হয়েছে ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায়। তবে হ্যাকারদের বানান ভুলের কারণে একই অ্যাকাউন্ট থেকে আরও প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার লেনদেন বানচাল হয়ে গেছে। জেরুজালেম-ভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানি সাইবারআর্কের একজন ঊর্ধ্বতন পরিচালক আন্দ্রে ডালকিন এক ইমেইলে ব্লুমবার্গকে বলেন, ‘বানান ভুলের ওপর নির্ভরতা কোনো নিরাপত্তা নীতি হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের অ্যাকাউন্টের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতো, তারা দ্রুতই অস্বাভাবিক গতিবিধি শনাক্ত করতে পারতো। আর এসব সন্দেহজনক গতিবিধি শনাক্তের জন্য তাদের তৃতীয় পক্ষের ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরও করতে হতো না।’ টাকা খোয়া যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নিউ ইয়র্কের ফেডারেল ব্যাংকের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকেরও সমালোচনা করেছেন। গত সপ্তাহে তিনি এই বিপুল পরিমাণ অর্থ স্থানান্তরের জন্য ফেডারেল ব্যাংকের বিরুদ্ধে এনেছেন অনিয়মের অভিযোগ। এ বিষয়ে আইনি লড়াইয়ের কথাও বলেছেন তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংক এই পরিস্থিতিকে যোগ্যতার সঙ্গে সামাল দিতে পারেনি বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, এমন একটি ব্যাংক ডাকাতি ঠেকানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও তৎপর হওয়া প্রয়োজন ছিল। এমন ঘটনা বিশ্বের অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্যও একটি সতর্কবার্তা। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো যেসব অগ্রসরমান অর্থনীতির দেশের প্রবৃদ্ধি ও বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাড়ছে, তাদের জন্য এই ঘটনাটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর অর্জুনা মাহেন্দ্রন সিঙ্গাপুরে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ব্লুমবার্গকে বলেন, ‘সব কেন্দ্রীয় ব্যাংকই এই ঘটনার পর নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে খতিয়ে দেখছে। ফেডারেল ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ম্যাসেজিং সিস্টেমকেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে মূল চালিকাশক্তি হলো জনবল। তারা অলস হয়ে পড়ে এবং তারা বাজে অভ্যাস গড়ে তোলে।’ একই ধরনের আরও ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশের ‘গভীর উদ্বেগ’ থাকা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন সিঙ্গাপুরের ডিলয়িট্টে টুশে থমাতসু কনসালট্যান্টের পার্টনার ভিক্টর কিয়ং। তিনি বলেন, ‘এটা ভয়াবহ। নিয়ন্ত্রক কেন্দ্রীয় ব্যাংকেই যদি এমন ভুল থাকে, তাহলে তাদের নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকগুলোও হয়তো খুব বেশি সুরক্ষিত নয়।’ ক্যানবেরা-ভিত্তিক অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট (এএসপিআই) প্রকাশিত ২০১৫ সালের ‘সাইবার ম্যাচিউরিটি’ র‌্যাংকিংয়ে দেখা গেছে, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো দেশগুলো নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে সুরক্ষিত রাখতে সুসঙ্গত সাইবার নীতিমালা চালু করেছে। তবে থাইল্যান্ড বা ফিলিপাইনের মতো দেশগুলোর প্রতিরক্ষা আরও উন্নত হওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছে এএসপিআই। এই র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তবে তাদের পরবর্তী র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এএসপিআইয়ের জাতীয় নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিচালক টোবিয়াস ফিকিন বলেছেন, এটা কৌতূহলোদ্দীপক যে বাংলাদেশ সরকার তাদের নিজেদের ব্যাংকের থেকে মনোযোগ সরাতে ফেডারেল ব্যাংকের দিকে আঙুল তুলেছে।’ তবে ফেডারেল ব্যাংকের একজন মুখপাত্র গত সপ্তাহেই বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ স্থানান্তরের যে নির্দেশনা তারা পেয়েছেন তা নীতিমালা অনুসরণ করেই করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে যে সুইফট কোড সিস্টেম ব্যবহার করা হয়, এসব লেনদেনের নির্দেশনা সেই সিস্টেম দ্বারাও সম্পূর্ণভাবে অনুমোদিত ছিল। ওই মুখপাত্র বলেন, ফেডারেল ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক হয়েছে এমন কোনো লক্ষণই তারা দেখতে পাননি। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘটনার এক তদন্তকারীকে উদ্ধৃত করে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ইনফরমেশন সিস্টেম কর্মীদের অগোচরেই জানুয়ারি মাসে ব্যাংকের সিস্টেমে ছড়িয়ে দেয়া হয় ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার কোড। এ বিষয়ে কথা বলার এখতিয়ার নেই জানিয়ে নাম না প্রকাশ করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখে হ্যাকাররা হানা দেয় ব্যাংকের সিস্টেমে। এএসপিআইয়ের টোবিয়াস ফিকিন বলেন, ‘আমরা জানি না কীভাবে ওই ম্যালওয়্যার সিস্টেমে প্রবেশ করানো হয়েছিল। তবে ঘটনা থেকে এটা স্পষ্ট যে ব্যাংকের পরিচালন পদ্ধতি ও ব্যাংকের কর্মীদের ব্যাংকে আসা-যাওয়ার সব তথ্যই জানা ছিল হ্যাকারদের। সাইবার সিকিউরিটির প্রসঙ্গে সবসময়ই সবথেকে দুর্বল স্থানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়।’ নাম না প্রকাশ করার শর্তে বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেনকারী আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন অর্থ লোপাটের পরদিন ব্যাংকের সিস্টেমকে অকার্যকর দেখেছেন। তবে এই বিষয়টি তারা তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কাউকেই অবগত করেননি বলে জানান অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সব ধরনের সাইবার আক্রমণকে প্রতিহত করার উপযোগী সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মে সংযুক্তির কাজ ‘দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছিল’। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সক্ষমতার অভাব বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো বক্তব্য নেই। ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি ফরেনসিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এই তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন ভার্জিনিয়া-ভিত্তিক সাইবার সুরক্ষা কোম্পানি ওয়ার্ল্ড ইনফরম্যাটিক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাকেশ অ্যাস্থানা। যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার সুরক্ষা কোম্পানি ফায়ারআই ইনকরপোরেশনের ম্যানডিয়ান্ট ইউনিটকেও নিয়োগ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফায়ারআইয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ব্রাইস বোল্যান্ড বলেন, ‘এশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে উচ্চস্তরের সাইবার হুমকির ঘটনা অব্যাহতভাবে বাড়ছে। সাইবার হামলা থেকে সুরক্ষার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আরও বাড়াতে হবে।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে লোপাট হওয়া অর্থ গিয়ে জমা হয়েছে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায়। দেশটিতে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। লোপাট হওয়া অর্থের কিছু অংশ ফেরত দেয়ারও আশা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান টেরেসিটা হারবোসা। সাইবারআর্কের ডালকিন বলছেন, হ্যাকারদের বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও অ্যাপ্লিকেশন অ্যাকাউন্টগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে হয়েছে। এসব অ্যকাউন্টের তথ্য হাতিয়ে নেয়ার মাধ্যমে তারা নেটওয়ার্কের ভেতরে থেকেই বিশাল পরিমাণ অর্থ স্থানান্তরের নির্দেশ প্রদান করতে পেরেছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নির্মাতা ক্যাসপারস্কি ল্যাবের একটি প্রতিবেদনে কারবানাক গ্যাং নামের একটি হ্যাকার গ্রুপের কথা বলা হয়। ওই হ্যাকার দলটি বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় একশ’ কোটি মার্কিন ডলার হাতিয়ে নিতে সমর্থ হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের হ্যাকিংয়ের ঘটনা কারবানাক গ্যাংয়ের হ্যাকিংয়ের ঘটনাগুলোর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ বলে জানিয়েছেন ডালকিন। তিনি বলেন, ‘হ্যাকাররা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের গোপন তথ্যগুলো হাতিয়ে নেয়ার তালে ছিল যাতে করে তারা তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারে। আমরা ধারণা করছি, ভবিষ্যতে এই ধরনের সাইবার হামলা আরও বেশি আগ্রাসী হবে। আর সাধারণভাবে সাইবার আক্রমণগুলোও হবে আরও বেশি বিস্তৃত পরিসরের, যেগুলোর মাধ্যমে তারা আরও বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতে চেষ্টা করবে।’

    বাংলাদেশে সুশীল সমাজের সুযোগ সংকোচন কেন, জানতে চায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট |

    By: Unknown On: 01:14
  • Share The Gag


  • বাংলাদেশে সুশীল সমাজের কথা বলার সুযোগ সীমিত হয়ে আসার বিষয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশকে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দেশটির বৈদেশিক উন্নয়ন দপ্তর (ডিএফআইডি) কী ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন দেশটির সরকারদলীয় একজন সাংসদ। ১৬ মার্চ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নিয়মিত অধিবেশনে এমন প্রশ্ন তোলেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের এমপি ফিয়োনা ব্রুস। এ সময় অধিবেশনে বৈদেশিক উন্নয়নবিষয়ক দপ্তরের কার্যক্রম নিয়ে জবাবদিহি করছিলেন বৈদেশিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী জাস্টিন গ্রিনিং। সরাসরি প্রশ্নে ফিয়োনা মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, যুক্তরাজ্য যে বৈদেশিক সাহায্য প্রদান করে, তার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ পায় বাংলাদেশ। অথচ গত সপ্তাহেও কনজারভেটিভ দলীয় মানবাধিকার কমিশন জানতে পেরেছে যে দেশটিতে সুশীল সমাজের সুযোগ দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে এবং এ নিয়ে চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে। তিনি জানতে চান, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বৈদেশিক উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী কী ভূমিকা রাখতে পারেন। জবাবে জাস্টিন গ্রিনিং বলেন, ‘আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে পারি যে বৈদেশিক উন্নয়ন দপ্তর ও আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্য দাতারাও বাংলাদেশে সুশীল সমাজের সুযোগ সংকোচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সরকারকে এসব উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।’ সুশীল সমাজ রক্ষার বিষয়টি অবিশ্বাস্য রকম গুরুত্বপূর্ণ (ইনক্রেডিবলি ইম্পর্টেন্ট) উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের অনুদানপ্রাপ্ত বেসরকারি সংগঠনগুলো সুশীল সমাজের স্বাভাবিক বিচরণ রক্ষায় সরকারের সঙ্গে দেনদরবার চালিয়ে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১০ মার্চ কনজারভেটিভ দলীয় মানবাধিকার কমিশনের ডাকে হাউস অব কমন্সের কমিটি রুমে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাদেশের পাশাপাশি মিসর ও কম্বোডিয়ার প্রতিনিধিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে কম্বোডিয়ার কোনো প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন না। সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন একজন (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) আজ শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতি মূল্যায়নে ওই সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে সরকারের প্রতিনিধি বা কোনো সংবাদমাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মুক্তভাবে আলোচনা এবং প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা বিবেচনায় এমনটি করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ভিন্নমত দমন, বিরোধী নেতা-কর্মীদের গুম, হত্যা, নির্যাতন ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসে। সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্‌ফুজ আনামের ওপর জেলায় জেলায় মামলা হওয়ার বিষয়টি বেশ গুরুত্ব পায়। কনজারভেটিভ-দলীয় এমপি ফিয়োনা ব্রুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বেশ কয়েকজন কনজারভেটিভ-দলীয় এমপি উপস্থিত ছিলেন। 

    দাম্পত্য সমস্যা : কুরআনের সমাধান

    By: Unknown On: 10:49
  • Share The Gag

  • স্ত্রী পিটানো কি ইসলাম সমর্থন করে?- এ প্রশ্নটি দীর্ঘকাল ধরে ধর্মপরায়ণ শিক্ষিত মুসলিম নারীদের মনে কাঁটা হয়ে বিঁধে ছিল। বিভিন্ন সময়ে সূরা নিসার এই ‘দরাবা’ সংক্রান্ত ৩৪ নম্বর আয়াতটির বিভিন্ন ব্যাখ্যা এসেছে। কোনো কোনো ইসলামি চিন্তাবিদ একে ‘চল্লিশ ঘা’ আবার কেউ কেউ ‘মৃদু আঘাত’ বলেছেন। কিন্তু সব ক’টি ব্যাখ্যার সাথেই শারীরিক আঘাত ব্যাপারটি জড়িত রয়ে গেছে। ফলে এর একটি সুস্পষ্ট প্রভাব আমাদের সমাজে দেখা যায়। কারণে অকারণে স্ত্রীকে আঘাত করা অনেক মুসলিম পুরুষই তাদের অধিকার মনে করেন। অনেকে আবার একটু আগ বাড়িয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে শাসন করাকে নিজ পবিত্র দায়িত্ব মনে করেন। শরীরের আঘাত শুধু শরীরের সাথেই সম্পর্কিত থাকে না, তা মনের সাথেও গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। শারীরিক আঘাত কম হোক বা বেশি হোক তা আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন যেকোনো নারীর মনেই কঠিন অপমানবোধ সৃষ্টি করে। কাজেই বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ আব্দুল হামিদ আবু সুলেমান সূরা নিসায় ব্যবহৃত ‘দরাবা’ শব্দটির অর্থ ‘পিটানো’, এমনকি ‘মৃদু আঘাত’ হিসেবে না নিয়ে, বরং অন্যরকম অর্থ গ্রহণের প্রতি জোর দিয়েছেন এবং এর কারণ হিসেবে পেশ করেছেন কঠিন যুক্তি। 
    তিনি তার Marital Discord : Recapturing the Full Islamic Spirit of Human Dignity বইতে বোঝাতে চেয়েছেন- আরবি অভিধানে ‘দরাবা’ শব্দটির অনেক অর্থ রয়েছে; সে ক্ষেত্রে অন্য সব অর্থ বাদ দিয়ে স্ত্রীর ক্ষেত্রে ‘পিটানো’ বা ‘আঘাত করা’ অর্থটি গ্রহণ করা কতটা যুক্তিযুক্ত, বিশেষ করে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, তা ভেবে দেখতে হবে।
    সূরা নিসার ৩৪ ও ৩৫ নম্বর আয়াতকে (যাতে এই শাস্তির ব্যাপারটি বিধৃত হয়েছে) বিচ্ছিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে না। এ আয়াতের ব্যাখার ভিত্তি হতে হবে সূরা রূমের ২১ নম্বর আয়াত যেখানে আল্লাহ পারস্পরিক দয়া ও ভালোবাসাকে বিবাহের উদ্দেশ্য হিসেবে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। 
    ‘আর এক নিদর্শন হলো, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।’ (সূরা আর রূম-২১) 
    শুধু বিবাহের ক্ষেত্রে নয়, এমনকি বিবাহবিচ্ছেদ বা তালাকের সময়ও নারীকে অসম্মান করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। 
    ‘আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দিয়ে দাও, অতঃপর তারা নির্ধারিত ইদ্দত সমাপ্ত করে নেয়, তখন তোমরা নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে রেখে দাও অথবা সহানুভূতির সাথে তাদেরকে মুক্ত করে দাও। আর তোমরা তাদেরকে জ্বালাতন ও বাড়াবাড়ি করার উদ্দেশ্যে আটকে রেখো না। আর যারা এমন করবে, নিশ্চয়ই তারা নিজেদের ক্ষতি করবে।’ (সূরা বাকারা: ২৩১) 
    যেখানে বিবাহের ভিত্তি সম্প্রীতি ও দয়া এবং এই বিবাহরে সমাপ্তিতেও নারীর প্রতি সহানুভূতি ও সম্মানের কথা বলা হয়েছে সেখানে বিবাহকালীন সম্পর্ক ধরে রাখার মাধ্যম হিসেবে আঘাত ও মানসিক যন্ত্রণাকে ব্যবহার ঠিক সামঞ্জস্যশীল মনে হয় না। 
    অতীতে পরিবারে নারীদের ভূমিকা একরকম ছিল। তখন মহিলাদের সব কার্যক্রম পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। অর্থনৈতিক কার্যক্রম থেকে তারা বিরত থাকতেন। অন্য দিকে পুরুষরা অর্থনৈতিক দায়িত্ব পালন করত। পুরুষদের এই অর্থনৈতিক শক্তি তাদেরকে বাড়তি ক্ষমতা প্রদান করত। অর্থনৈতিক ব্যাপারে পুরুষদের ওপর নির্ভরশীলতা নারীদের ক্ষমতাহীন করে রাখত, ফলে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও তারা পুরুষদের ওপর নির্ভর করত। কিন্তু বর্তমানে এ চিত্রের পরিবর্তন ঘটেছে। পরিবারে নারী ও পুরুষের এ ভূমিকায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। পুরুষের ওপর নারীর অসহায় নির্ভরশীলতা কমেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে; ফলে নারীদের ওপর পুরুষের একচ্ছত্র ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষেত্রও হ্রাস পেয়েছে। কাজেই বর্তমান সময়ে পরিবারের কোনো সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে বা স্বামীÑস্ত্রীর কোনো বিরোধ নিরসনে পরিবারের এই কাঠামোকে বিবেচনায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 
    এখানে দরাবা’র অর্থ কি ‘আঘাত করা’ ‘শারীরিক শাস্তি প্রদান’ হবে যা কষ্ট, ব্যথা ও অপমানের জন্ম দেয়? শারীরিক আঘাত বা অপমানের মাধ্যমে দমন কি ভালোবাসা বা আনুগত্য তৈরিতে সহায়ক হয়? বা এর মাধ্যমে কি একটি পারিবারিক সম্পর্ক ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করা যায়? ইসলাম যেখানে স্বামীর নির্যাতনমূলক আচরণের ক্ষেত্রে স্ত্রীকে বৈবাহিক সম্পর্ক অবসানের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার দিয়েছে সেখানে এরূপ দমন কি স্ত্রীকে আরো বেশি সে দিকে (তালাক বা খুলা) ঠেলে দেবে না? আর যদি তাই হয় তবে কি এ ক্ষেত্রে চাপ প্রয়োগ, দমন বা আঘাতের কোনো সুযোগ রয়েছে, যা পরিবারকে পুনর্গঠনের পরিবর্তে বরং ভাঙার দিকে আরো ঠেলে দেবে? 
    কুরআনকে কুরআন দিয়েই ব্যাখ্যা করা সর্বাপেক্ষা উত্তম উপায়। কুরআনের সর্বোত্তম ব্যাখ্যা এই আল্লাহর বাণী কুরআন দিয়ে এবং শরিয়াহর সাধারণ মাকাসিদ বা উদ্দেশ্য দ্বারা এর সামঞ্জস্য বিধান সম্ভব। আল কুরআনে ‘দরাবা’ শব্দটির বিবিধ ব্যবহার লক্ষ্য করলে এর প্রায় সতেরটি অর্থ পাওয়া যায়। যদি আমরা কুরআনের এই আয়াতগুলো বিশ্লেষণ করি তবে দেখব যে মূল ক্রিয়া ’দরাবা’-এর অনেক আক্ষরিক ও রূপক অর্থ রয়েছে। এর অর্থ হতে পারে পৃথক করা, বিচ্ছিন্ন করা, আলাদা করা, প্রস্থান করা, ছেড়ে যাওয়া, দূরত্ব সৃষ্টি করা, বাদ দেয়া, দূরে সরে যাওয়া ইত্যাদি। কাজেই দেখা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন বস্তুর সাথে যুক্ত হলে দরাবা সেই অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে।
    কাজেই প্রশ্ন হলো- দরাবা যখন বৈবাহিক সমস্যা সমাধানের উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হবে এবং বিচ্ছিন্ন স্বামী-স্ত্রীর পুনরায় মিলন ঘটানো ও ভালোবাসা তৈরির পন্থা হিসেবে বিবেচিত হবে তখন এর কোন অর্থটি সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত হতে পারে? 
    ‘...যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা করো, [প্রথমে] তাদের সদুপদেশ দাও, [তারপর] তাদের শয্যা ত্যাগ করো এবং [শেষে] দরাবা করো; কিন্তু যদি তারা বাধ্যতায় ফিরে আসে তবে আর তাদের জন্য কোনো পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবার উপরে শ্রেষ্ঠ।’ (সূরা নিসা : ৩৪)।
    পটভূমি বিবেচনা করলে বোঝা যায়, এই আয়াতের উদ্দেশ্য হচ্ছে সম্মানজনক উপায়ে এবং কোনোরকম চাপ প্রয়োগ বা ভয়ভীতি প্রদর্শন না করে স্বামী-স্ত্রীর মিলন ঘটানো। কেননা স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই এই সম্পর্ক অবসানের সুযোগ ও অধিকার রয়েছে। কাজেই দরাবা’র অর্থ কখনো এমন হতে পারে না যা দ্বারা মানুষ আহত হবে, কষ্ট পাবে বা অপমানিত হবে। চাপ প্রয়োগ করা বা শারীরিক আঘাত কখনোই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করতে ও বজায় রাখতে সহায়ক হয় না। এটি তাদের সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধিতে বা পারস্পরিক আস্থা তৈরিতে কোনোভাবেই সহায়ক ভূমিকা রাখে না। 
    দরাবা সম্পর্কিত উপরিউক্ত বিশ্লেষণ রাসূল সা:-এর হাদিস ও তাঁর আচরণের সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। বিভিন্ন বর্ণনা থেকে আমরা জানতে পারি, রাসূল সা:-এর স্ত্রীগণ জীবনযাত্রার মান কিছুটা বাড়ানোর দাবি করেছিলেন রাসূল সা:-এর কাছে। কিন্তু রাসূল সা:-এর অর্থনৈতিক অবস্থায় সেটা সম্ভব ছিল না বলে সেই দাবি মানা সম্ভব হয়নি। জীবনযাত্রার মান উন্নতকরণের দাবি অস্বীকৃত হওয়ায় তারা [রাসূল সা:-এর স্ত্রীগণ] যখন অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তখন রাসূল সা: তাঁর স্ত্রীদের থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। এ পরিস্থিতিতে এক মাসের জন্য তিনি ’আল মাশরাবাহ’ (আলাদা থাকা)-এর আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং তাদেরকে এ সুযোগ দিয়েছিলেন যে, তারা ইচ্ছা করলে রাসূল সা:-এর যতটুকু সামর্থ্য রয়েছে সে অনুযায়ী জীবনযাত্রার মান মেনে নিয়ে থাকতে পারেন অথবা তারা ইচ্ছে করলে বিবাহের সম্পর্ক থেকে মুক্তি নিতে পারেন এবং সম্মানের সাথে আলাদা হয়ে যেতে পারেন। একটি হাদিসে উল্লেখ আছে, হজরত মুহাম্মদ সা: একজন ব্যক্তিকে কঠিনভাবে ভর্ৎসনা করেছিলেন, কারণ সে তার স্ত্রীকে পিটিয়েছিল। ‘যে তার স্ত্রীকে ভৃত্যের মতো পেটায় আবার তার সাথে শুতে লজ্জাবোধ করে না।’ (বুখারি)। মুসলিম শরিফে উল্লেখ আছে, আল্লাহর পথে জিহাদ ব্যতীত, হজরত রাসূলে করিম সা: কোনো নারী, ভৃত্য অথবা কোনো ব্যক্তির ওপর কখনো হাত তোলেননি। [এমনকি যুদ্ধকালীন অবস্থায়ও শত্র“পক্ষের নারীদের প্রতি আঘাত করা নিষিদ্ধ ছিল।] রাসূল সা: আরো বলেছেন, তোমাদের মধ্যে অনেক মহিলা তাদের স্বামীদের নির্যাতনের ব্যাপারে রাসূলের পরিবারের কাছে শোক প্রকাশ করতে আসে। এই নির্যাতনকারী স্বামীরা কখনোই উত্তমদের অন্তর্ভুক্ত নয়’ (আবু দাউদ)।
    তা ছাড়া এটাও বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, কুরআনে শারীরিক শাস্তি বোঝানোর জন্য ‘দরাবা’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়নি। বরং কুরআনে এ ক্ষেত্রে যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তা হলো ‘জালাদা’- কশাঘাত বা বেত্রাঘাত বা প্রহার করা। যেমন সূরা আন্-নূরে বেত্রাঘাত বোঝাতে ‘জালাদা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে- 
    ‘ব্যাভিচারিণী নারী, ব্যাভিচারী পুরুষ, তাদের প্রত্যেককে ১০০ করে বেত্রাঘাত করো। আল্লাহর বিধান কার্যকরকরণে তাদের প্রতি তোমাদের মনে যেন দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাকো মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে’ (সূরা আন্-নূর : ২)।
    উপসংহারে বলতে চাই যে, অবাধ্যতা বা বিবাদের ফলে বৈবাহিক সম্পর্কে সৃষ্ট সঙ্কট নিরসনে কুরআন যে ‘দরাবা’র কথা বলেছে, তার সঠিক অর্থ হবে স্ত্রী থেকে ‘দূরে সরে যাওয়া’, স্ত্রী থেকে ‘দূরত্ব তৈরি করা’ এবং ঘর থেকে ‘চলে যাওয়া’, যাতে স্ত্রীর যুক্তিবোধ জাগ্রত হয় বা সে তার আচরণের অন্যায্যতা ও এর সম্ভাব্য পরিণাম উপলব্ধি করতে পারে। দূরে সরে যাওয়া বা আলাদা হয়ে যাওয়া অর্থটি এ ক্ষেত্রে বেশি গ্রহণযোগ্য এবং দৈহিক আঘাত ও মানসিক যন্ত্রণাদান অপেক্ষা কুরআনের বাচনভঙ্গির সাথে বেশি সঙ্গতিপূর্ণ। আব্দুল হামিদ আবু সুলেমানের এই ব্যাখ্যাটি এক দিকে যেমন সুযোগসন্ধানী কিছু পুরুষের নির্যাতনের সব পথ বন্ধ করে দেয়, তেমনি ইসলামের ছিদ্রান্বেষীদের ‘ইসলাম নারী নির্যাতন সমর্থন করে’- এই চিরায়ত অপবাদের পথও রুদ্ধ করে। কাজেই এটা সময়ের দাবি যে মুসলিমরা ‘দরাবা’র এ ব্যাখ্যাটি জানবেন ও বিবেচনায় আনবেন।
    - See more at: https://www.facebook.com/affan.tareq

    জিকির সার্বক্ষণিক ইবাদত :

    By: Unknown On: 10:40
  • Share The Gag

  • জিকির একটি ইবাদত। সহজ ও কষ্টবিহীন ইবাদত। অপরাপর ইবাদতগুলোতে কষ্ট সাধন করতে হয়। কিন্তু জিকিরের ক্ষেত্রে কোনো কষ্টই সইতে হয় না। এ ছাড়াও খাঁটি মুমিনের শান হলো জিকির। জিকির ছাড়া খাঁটি মুমিন হওয়া কল্পনাতীত। পৃথিবীর বুকে যত নবী-রাসূল, ওলি-আল্লাহ, বুজুর্গ ছিলেন সবার সব সময়ের আমল ছিল জিকির। 
    জিকিরে দিল তাজা হয়, সতেজ হয়, তরতাজা থাকে, জিন্দা থাকে হৃদয়ের অন্দর। হাদিস শরিফে রাসূল সা: ইরশাদ করেন, আবু মুসা আশয়ারি রা: থেকে বর্ণিত- যে ব্যক্তি স্বীয় পালনকর্তার কথা স্মরণ করে আর যে করে না তাদের উভয়ের দৃষ্টান্ত যথাক্রমে জীবিত ও মৃত। জিকির দিয়ে অন্যান্য ইবাদতের মজা ও স্বাদ পাওয়া যায়। এক হাদিসে আছে, রাসূল সা: ইরশাদ করেন- যার ভাষ্য প্রায় এ রকম, বান্দাহ যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহকে স্মরণ করে, আল্লাহ ততক্ষণ ওই বান্দাহকে স্মরণ করে। ইবাদতের মর্মকথা হলো- আল্লাহকে সব সময় স্মরণ করা। আল্লাহর চিন্তা-ফিকির হৃদয়ে সদা জাগ্রত রাখা। এ কারণে দৈনন্দিন ইবাদত নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। যেন আল্লাহকে বান্দাহ সব সময় স্মরণ করতে বাধ্য হয়। এতে বোঝা যায় নামাজ, রোজা প্রভৃতি ইবাদত হলো আল্লাহকে স্মরণ করার মাধ্যম। আর জিকির হলো মাধ্যম ছাড়া আল্লাহকে স্মরণ করা। এক স্থানে আল্লাহ নিজেই ঘোষণা দেন- ‘আকিমিস সালাতা লিজিকরি’। অর্থাৎ নামাজ আদায় করো আমার স্মরণের জন্য।
    ওলামায়ে কেরাম জিকিরের প্রকারভেদ বর্ণনা করেছেন। জিকির অন্তর দিয়েও হয়, জবান দিয়েও। এ হিসেবে জিকির দুই প্রকার। কালবি, জবানি। এ দু’য়ের মধ্যে কালবি উত্তম। কালবি জিকির আবার দুই প্রকার- ক. অন্তরে আল্লাহর মহত্ত্ব, বড়ত্ব, কুদরতের কথা স্মরণ করা। খ. আল্লাহ তায়ালা যে বিধিবিধান দিয়েছেন তা আদায় করার সময় আল্লাহর কথা স্মরণ করা। জিকিরে কালবির প্রথম প্রকারকে জিকিরে খফিও বলে। বুজুর্গদের বর্ণনায় পাওয়া যায়, জিকিরে খফি সত্তর গুণ বেশি মর্যাদার অধিকার রাখে। এমনকি আমল লেখা ফেরেশতারাও সে সম্পর্কে অবগত নয়। ঘটনা বর্ণনা করা হয় (যদিও তা দুর্বল)
    কিয়ামতের দিন বান্দাহর হিসাব-নিকাশের জন্য যখন একত্র করা হবে, তখন আমল লেখক ফেরেশতারা তার সব রেকর্ড পেশ করবে। আল্লাহ বলবেন, ভালো করে দেখো আমার বান্দাহর আরো কিছু আমল আছে কি না? আমল লেখক ফেরেশতা বলবে, ‘হে পরোয়ারদেগার! আপনি আমার দ্বারা যা রেকর্ড করিয়েছেন আমি তা পুঙ্খানুপুঙ্খ পেশ করেছি।’ তখন আল্লাহ বান্দাহকে বলবেন, তোমার এমন কতগুলো নেকি (আমল) আছে যা আমি ছাড়া অন্য কেউ জানে না। আমি আজ তার প্রতিদান দেবো। আর ওই আমল হলো জিকরে খফি (অনেক ওলামায়ে কেরাম জিকরে খফিকে এত মূল্যায়ন করেন না)।
    জিকিরের ফজিলত : জিকিরের মাধ্যমে বান্দাহ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে। মানুষ তার কথাই বেশি স্মরণ করে, যার সাথে তার সম্পর্ক বেশি। সুতরাং আল্লাহর প্রেমিক হওয়ার জন্য আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করতে হবে। আর স্মরণ করার সবচেয়ে সহজ তরিকা হলো জিকির। ইমাম বুখারি-মুসলিম উভয়ে নিম্নোক্ত হাদিসটি এনেছেন। যাতে জিকিরের একটি অনন্য ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে যে, আল্লাহ বান্দাহকে স্মরণ করে। হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিতÑ তিনি বলেন, রাসূল সা: বলেছেন, আল্লাহ বলেন, ‘আমি বান্দাহর নিকট সেরূপ যেরূপ বান্দাহ আমাকে ভাবে। আমি তার সাথে থাকি যখন সে আমাকে স্মরণ করে। যদি সে আমাকে স্মরণ করে মনে, আমি তাকে স্মরণ করি মনে। যদি সে আমাকে স্মরণ করে ভরপুর কোনো মজলিশে, আমি তাকে স্মরণ করি তার চেয়ে উত্তম কোনো মজলিশে।’
    জিকিরকারী ও জিকিরের মজমাকে রহমতের ফেরেশতারা বেষ্টন করে রাখে এবং অহরহ তাদের ওপর রহমত-বরকত বর্ষিত হতে থাকে। হজরত আবু হুরায়রা ও আবু সাঈদ খুদরি থেকে বর্ণিতÑ রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘যেকোনো মানবদল আল্লাহর জিকির করতে বসে, নিশ্চয় আল্লাহর ফেরেশতারা তাদের বেষ্টন করে নেয়। তাঁর রহমত তাদের ঢেকে ফেলে এবং তাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হয়। আল্লাহ তাদেরকে স্মরণ করেন।’ (মুসলিম)। 
    জিকিরের ফজিলত অল্প কোনো বিষয় নয় যে, তা দু-এক কথায় শেষ হয়ে যাবে। ফরজ ইবাদতের পরই জিকিরের গুরুত্ব, ওলি-আল্লাহরা সর্বদাই ইবাদতে মশগুল থাকতেন। তাদের সর্বদা ইবাদতে লিপ্ত হওয়ার বিষয়টি হলো জিকির। হজরত উম্মে হাবিবা রা: থেকে বর্ণিতÑ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘সৎ কাজের আদেশ, অসৎ কাজের নিষেধ অথবা আল্লাহর জিকির ছাড়া প্রত্যেক কথাই আদম সন্তানের পক্ষে ক্ষতিকর, কল্যাণকর নয়। ’
    রাসূলুল্লাহ সা:-এর দৈনন্দিন আমলে জিকিরের প্রাধান্য ছিল। সাহাবায়ে কেরাম চলনে-বলনে, শয়নে-স্বপনে, চলাফেরায় সদাসর্বদা জিকিরে মশগুল থাকতেন। এ বিষয়ে স্বয়ং আল্লাহ আদেশ দিচ্ছেন, ‘সকাল-সন্ধ্যা আপনার পালনকর্তার নাম স্মরণ করুন’ (সূরা আদদহর : ২৫)। সূরা আহজাবে আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ অধিক পরিমাণে আল্লাহকে স্মরণ করো এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করো (সূরা আহজাব : ৪১, ৪২)। এসব আয়াতের বাস্তবতা পাওয়া যায় নবী-রাসূল, মুমিনদের আমলে।
    আল্লাহ জিকিরকারীদের প্রশংসা এভাবে করেছেন যে, ‘তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদের কথা স্মরণ করব’। (সূরা বাকারাহ : ১৫২)। এ আয়াতের পরিপ্রেক্ষিতে আবু উসমান মাহদি বলেন, ‘আমি জানি কখন আল্লাহ আমাকে স্মরণ করে। ‘লোকেরা বলল কিভাবে কখন’, তিনি আমাকে স্মরণ করেন যখন আমি তার জিকির করি, আমি তা উক্ত আয়াত দ্বারা বুঝলাম।’ উল্লিখিত ফজিলত ছাড়া জিকিরের আরো বহু ফজিলত রয়েছে। এ সম্পর্কে বহু আয়াত ও দীর্ঘ হাদিস রয়েছে।
    - See more at: https://www.facebook.com/affan.tareq