Tagged Under:

কেন ভিটামিন এ খাওয়া জরুরি?

By: Unknown On: 12:08
  • Share The Gag

  • সুস্থ থাকতে দৈনন্দিন জীবনে প্রায় সব ধরনের ভিটামিন খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ভিটামিন এ। এটি হলো এমন একটি চর্বি দ্রবণীয় এবং শক্তিশালী অ্যান্টিডেন্ট সমৃদ্ধ যৌগ, যেটি আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। এটি ইমিউন সিস্টেমকে সহায়তা করার পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে শরীরের স্বাভাবিক বিভিন্ন কার্যক্রম এবং প্রজননেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাজেই শরীর ঠিক রাখতে পূর্ব সর্তকতা হিসেবে পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন খাওয়া অনেক বেশি জরুরি। এক্ষেত্রে পূর্ণবয়স্কের খাদ্যে নিম্নসীমা: দৈনিক অন্তত ৭০০(মহিলা) ও ৯০০(পুরুষ) মাইক্রোগ্রাম এবং পূর্ণবয়স্কের খাদ্যে উর্দ্ধসীমা: দৈনিক সর্বাধিক ৩০০০(মহিলা ও পুরুষ) মাইক্রোগ্রাম।

    ভিটামিন এ কেন গ্রহণ করবেন?

    ভিটামিন এ সাধারণত রেটিনয়েডস এবং ক্যারটিনয়েডস নামে দুই ধরনের উপাদান নিয়ে গঠিত। এগুলো নিম্নরুপ:

    রেটিনয়েডস
    এই যৌগটি চোখের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একইসঙ্গে কোষ, হাড়ের বৃদ্ধি এবং ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি সাধন করে। সাধারণত কলিজা, ডিম এবং দুধে রেটিনয়েডস পাওয়া যায়।

    ক্যারটিনয়েডস
    পাতা কপি, গাজর প্রভৃতি নানা ধরনের শাকসবজি এবং ফলমূলে সাধারণত ক্যারটিনয়েডস পাওয়া যায়। রেটিনয়েডসের মতো এটিও সুন্দর ত্বক এবং চোখের জন্য ভালো। আবার ইমিউন সিস্টেমকেও সাহায্য করে এটি।

    ভিটামিন এ সমৃদ্ধ কিছু খাবার-
    বিভিন্ন ধরনের খাবারে ভিশেষ করে শাকসবজি এবং ফলমূলে সাধারণত ভিটামিন এ পাওয়া যায়। এর মধ্যে মিষ্টি আলু, গরুর কলিজা, পালংশাক, গাজর, আম, পাতাকপি, ব্রোকলি প্রভৃতি অন্যতম।

    ভিটামিন এ এর উপকারিতা-
    # দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
    #  হাড়ের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
    # প্রজননে সাহায্য করে
    # কোষের বিভাজন এবং বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
    # ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি সাধন করে
    # ত্বকের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষা করে

    ভিটামিন এ এর অভাবে ক্ষতি-
    ভিটামির এ 'র অভাবে রাতকানা রোগ হতে পারে। এছাড়া এর অভাবে আঁশযুক্ত চামড়া, ভঙ্গুর চুল ও নখ এবং এদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। শুধু তাই নয়, ভিটামিন এ এর অভাবে শরীরে লৌহের মাত্রা কমে যায়, ফলে পরবর্তীতে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তবে এ ভিটামিনের অভাবে সবচেয়ে বেশি ভোগেন বৃদ্ধরা।

    সর্তকতা
    কোন ভিটামিনই বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা ঠিক নয়। অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণের ফলে শরীরে নানা বিষাক্ত উপাদানের জন্ম হয়। যার কারণে মানুষের শরীরে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, ত্বকে জ্বালা, জয়েন্টে ব্যথা প্রভৃতি নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। কাজেই ক্ষতি এড়াতে বেটা ক্যারটিন সমৃদ্ধ খাদ্য উৎস থেকে পরিমিত ভিটামিন এ গ্রহণ করুন।