Tagged Under:

বিচার বিভাগ আজ কোথায় ?

By: Unknown On: 10:54
  • Share The Gag


  • যেখানে মানবতা আজ পদে পদে ধর্ষিত, সেখানে তনুদের বেচে থাকার কোন অধিকার নেই, ওদের জন্মই হয়েছে ধর্ষিত হয়ে খুন হওয়ার জন্য, আর তনুরা যদি হয় হিজাবি তাহলেতো আর কোন কথাই নেই, ওদের ধর্ষন ও খুনের কথা মিডিয়ায় আসাটা পাপ, বিচার চাওয়াটা মহাপাপ।
    সোহাগী জাহান তনু, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। অলিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইয়ার হোসেনের মেয়ে। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে সোহাগী অলিপুরেই এক বাসায় টিউশনি করতেন। ঊনিশ বছর বয়সী এই মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে আর হত্যার ঘটনা ঘটেছে খোদ সেনানিবাসে !
    কারো মুখে উচ্চবাচ্য নেই। বড় পত্রিকাতেও কিছু সংবাদ নেই। ক্যান্টনমেন্টের মত স্থানে নিরাপদ নয়, ধর্ষণ করার পর হত্যা, এটি কি এতই সহজ একটি ব্যাপার ? একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্র ঠিক কোন পর্যায়ে গেলে এ ধরণের ভয়ংকর জঘন্য অপরাধগুলো ডাল ভাত হয়ে যায়, জানিনা। একটি দেশ চেতনার ব্যারোমিটারে পারদের উচ্চতা কতটা হাই থাকলে এইসব অপরাধী নিয়ে কথা বলা নিষেধ ?? নাকি এই মেয়ে হিজাবী দেখে কথা বলা যাবেনা ? সংখ্যালঘু কেউ হলে এতক্ষনে ফেইসবুক আর নিউজ পেপারগুলো প্রতিবাদের তুবড়ি ছুটিয়ে দিতো। সোহাগীকে নিয়ে কিছু নেই কেন ?? এই কিশোরী মেয়েটির জীবন কি জীবন না ? তার কি স্বপ্ন ছিলোনা ? সুশীল সমাজ ও আম জনতা জবাব দেবেন কি ???
    রাস্তার ওপর পড়ে আছে জুতা, ছেড়া চুল, একটু দূরে মোবাইল ফোন আর একটু দূরে গলা কাটা লাশ, কান থেকে তখনো রক্ত ঝরে পড়ছে... ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে সোহাগীকে।
    ঘটনাটা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট সেনানিবাস এলাকায়। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী।
    দেশের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হিসেবে ধরা হয় ক্যান্টনমেন্ট এলাকাগুলোকে। এবার সেখানেও নরপিশাচদের থাবা পড়লো.. সবচেয়ে নিরাপদ জায়গাতেই যদি সন্ধ্যায় একেবারে চেকপোস্টের কাছেই ধর্ষন হত্যা হয় তাহলে আর কোথায় নিরাপদ থাকবো আমরা?
    ঘটনার দুদিন পরেও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। মামলায়ও কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি। তাহলে কি হাজার ঘটনার ভিড়ে বিচার ছাড়াই ধামাচাপা পড়ে যাবে আরেকটি হত্যাকান্ড?
    আর কতোকাল চুপ থাকবো আমরা?
    আর কতোবার পরাজিত হবো আমরা?
    ঘাতকেরা আর কতোবার বিজয়ী হবে?
    আর চুপ নয়। কাল বিকেল ৪.৩০ এ সময় কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট নাজিরা বাজার সংলগ্ন পুলিশ ফাড়ি রাস্তার কাছে গনঅবস্থান এবং সন্ধ্যায় মশাল ও মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করবো আমরা। সাথে থাকবেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, ইস্পাহানী কলেজ এবং এলাকার ছোট-বড় সকল জনসাধারন...
    আর হ্যা কে থাকবে বা থাকবে না ফ্যাক্ট না। আপনি পারলে চলে আসুন। ওরা আজ সোহাগীকে মেরেছে, কাল আমার বোনকে মারবে, পড়শু আপনার বোনকে মারবে...
    সোহাগীরা বাচতে চায়
    ওদের বাঁচতে দিন...
    দাবি শুধু একটাই..
    .
    সোহাগী আমার বোন
    আমি বোন হত্যার বিচার চাই
    সোনার দেশের আজব প্রানী আমরা!
    এর চেয়েও বেশি আজব এদেশের আইন!
    :
    যে দেশে ধর্ষনে সেঞ্চুরী করার কারনে
    তাকে সরকারী ভাবে পুরুস্কৃত করা হয়।
    সে দেশে ধর্ষনের বিচার চাওয়া/পাওয়া
    আলাদিনের চেরাগের চেয়েও আশ্চার্য।
    যে দেশে ৪০ বছর আগের ধর্ষনের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়।
    সেই ট্রাইবুনাল দ্বারা আবার ধর্ষিত হয়
    এদের আইন-আদল-ইহসান।
    কিন্তু,ডিজিটার যুগে এসেও বিচার
    হয়না কোন ধর্ষিত হায়নার।
    যে দেশের নিরহ মানুষকে খুন করার
    জন্য বরাদ্দ হয় কোটি কোটি টাকা,
    সে দেশে খুনের বিচার চাওয়া/পাওয়া
    আসমানে বসত ঘর তৈরী করার মত।
    যে দেশে ক্রিকেটে ১ রানে হেরে যাওয়ার
    কারনে কেঁদে বুক ভাসাই।
    কিন্তু,কাঁদে না আমাদের মন হিংস্র
    জানোয়ারের থাবায় ধর্ষিত হয়ে
    জীবন চলে যাওয়ার তনুর জন্য!!