পঞ্চগড়ে হিন্দু ধর্মগুরুকে গলা কেটে হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটকৃতদের সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে পুলিশের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
পঞ্চগড়ে হিন্দু ধর্মগুরুকে গলা কেটে হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটকৃতদের সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে পুলিশের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, অন্যান্য ঘটনার মত এই বর্বর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল অপরাধিদের না ধরতে পারার ব্যর্থতা আড়াল করতে অভ্যাসমত ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গির শিবির নেতা দূরে থাক সমর্থকও নয়। তার সাথে ছাত্রশিবিরের দূরতম সম্পর্ক নেই। কোন অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিল করতে পরিকল্পিত ভাবে ওসি বাবুল আক্তার এই বর্বর ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়েছে। কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই এক জনকে ধরে শিবির নেতা বলে চালিয়ে দেয়া দায়িত্বহীনতার নিকৃষ্ট নজির ছাড়া কিছু নয়। এর আগেও এমন বর্বর ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়ানোর চেষ্টা করেছে পুলিশ। কয়েক মাস আগে পাবনার ইশ্বরদিতে খ্রিষ্টান ধর্মযাজক লুৎ সরকারকে হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িয়ে নিরাপরাধ শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে এবং বানোয়াট বক্তব্য দেয় পুলিশ। পরে আহত ব্যক্তি সাক্ষী দেন যে গ্রেপ্তারকৃতরা তার উপরে হামলাকারী নয়। যা গণমাধ্যমের কল্যাণে দেশবাসী জেনেছিল এবং এসব দায়িত্বহীন পুলিশের প্রতি ঘৃণা ও ধিক্কার জানিয়েছিল। পঞ্চগড়েও একই নাটকের পুণরাবৃত্তি করতে চাইছে পুলিশ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কোন বিশেষ গুষ্টির ইশারায় উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ের সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়ানো হচ্ছে। ছাত্রশিবির সবসময় ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। সুদীর্ঘ পথ চলায় ধর্মীয় সম্প্রীতি বিরোধী এমন নিকৃষ্ট কোন ঘটনার সাথে শিবিরের দূরতম সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ কেউ করতে পরেনি। বরং বাংলার জমিনে কোন ছাত্র সংগঠন কর্তৃক দ্বীর্ঘ সময় মন্দির পাহারা দেয়ার নজির ছাত্রশিবিরই সৃষ্টি করেছে। পুলিশের এই দায়িজ্ঞানহীন বক্তব্য প্রকৃত সত্য ঘটনা উদঘাটনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে এবং প্রকৃত অপরাধীরা আড়ালেই থেকে যাবে। যা কোন ভাবেই কাম্য নয়। আমরা অবিলম্বে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে পুলিশের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি। একই সাথে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বর্বর হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে পুলিশ প্রশাসন ও সরকারের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।